বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জশনে জুলুসে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্ননবী (দঃ) মিছিল প্রতিষ্ঠা করেছেন পঞ্চদশ শতাব্দির মোজাদ্দেদ রাসুলেপাকের ৪০ তম বংশধর আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ আবেদ শাহ্ মোজাদ্দেদী আল মাদানী (রাঃ)।
তারই ধারাবাহিকতায় সারা বাংলাদেশ পবিত্র জশনে জুলুস ঈদ-এ-মিলাদুন্ননবী (দঃ) উদযাপন করে থাকে। রাসূল পাক (দঃ) এর আগমনে একমাত্র কান্না করেছিল ও অখুশি হয়েছিলেন ইবলিশ শয়তান।
পবিত্র ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী আল আবেদীর সভাপতিত্বে ও নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সংলগ্ন হইতে পবিত্র জশনে জুলুস ঈদ-এ- মিলাদুন্ননবী (দঃ) উদযাপন কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হিজবুর রাসূল (দঃ) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত নারায়ণগঞ্জ জেলার সহযোগিতায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জশনে জুলুস মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (৯ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত হয় এ জুলুস মিছিল ও সমাবেশ। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে চাষাড়া, ডনচেম্বার, কালিরবাজার, টানবাজার হয়ে পুনরায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মিছিলের সমাপ্ত হয়। আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আখেরী মোনাজাতের পূর্বে সমাবেশে আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী এ সময় বলেন, পবিত্র ১২ই রবিউল আউয়াল সমস্ত সৃষ্টির জন্য রাহমাতাল্লিল আলামিন হিসেবে আমাদের প্রিয় নবী (দঃ) দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। আমাদের সমস্ত আলমের জন্য রহমত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন- “তোমরা আমার অনুগ্রহ বা রহমত প্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন কর।” আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত অনুসারীরা সকলেই এই দিনে খুশি উদযাপন করে জসনে জুলুশ মিছিল, মিলাদ মাহফিল, দান-ছদকা করে থাকেন
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কিছু মুসুলমান নামধারী আলেম ওলামাগন মিলাদুন্ননবী (দঃ) এর খুশি উদযাপনের বিরুদ্ধে ফতুয়া দিয়ে থাকে মূলত তারাই ইবলিশ শয়তানের অনুসারী। বাংলাদেশ সহ বিশ্বে যারাই ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত তারা সকলেই মিলাদুন্ননবী (দঃ) বিরোধীতাকারী ওহাবী আকিদায় বিশ্বাসী, তাদের থেকে মুসুলমান জাতিকে দূরে থাকতে হবে।
রাসূল পাক (দঃ) দুনিয়ার বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন তার উত্তম চরিত্র ও আদর্শের মাধ্যমে। বর্তমানে এই অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সর্বস্তরে রাসূল পাক (দঃ) এর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করাই হচ্ছে একমাত্র শাস্তি এবং মুক্তির পথ।
তাই সমস্ত মানবরচিত মতবাদকে ভূলে গিয়ে মসজিদ থেকে সংসদ পর্যন্ত রাসূল পাক (দঃ) এর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদ এবং পশ্চিমা বিশ্বসহ সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী।
বাংলাদেশে তথাবিশ্বের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় মদিনা সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সর্বদা সোচ্চার তাই স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির ঐক্যবদ্ধভাবে থেকে দেশের চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট মোবাবেলায় একত্রিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে এ উপস্থিত ছিলেন, আওলাদে রাসূল সৈয়দ মাহমুদ শাহ্ মোজাদ্দেদী আল আবেদী, পীরজাদা, ইমামে রাব্বানী দরবার শরিফ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর, আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম সভাপতি জশনে জুলুস ঈদ-এ-মিলাদুন্ননবী (দঃ) উদযাপন কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি, জশনে জুলুস ঈদ-এ-মিলাদুন্ননবী (দঃ) উদযাপন কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা, মোঃ আরিফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক জশনে জুলুস ঈদ-এ-মিলাদুন্ননবী (দঃ) উদযাপন কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা, আরও উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব সানোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, সাবেক সভাপতি জশনে জুলুস উদযাপন কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ হিজবুর রাসূল (দঃ) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াহিদুর রহমান ডাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমানতউল্লাহ আরমান খন্দকার, সভাপতি জনাব এ.এম.এম একরামুল হক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা, মোঃ সাদ্দাম হোসেন কাওছার, সাধারণ সম্পাদক ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা, মোঃ তরিকুল হাসান লিংকন সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা, মোঃ সাইফুদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা, মোঃ রাহাত হাসান রাব্বী, সভাপতি ইসলামী ছাত্রসেনা নাঃগঞ্জ জেলা, রিদুওয়ানুল ইসলাম নিবিড়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসলামী ছাত্রসেনা নাঃগঞ্জ জেলা, গোলাম মোস্তফা নীরব, সভাপতি ইসলামী ছাত্রসেনা নাঃগঞ্জ মহানগর, মোঃ সানি দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক ইসলামী ছাত্রসেনা নাঃগঞ্জ মহানগর এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার আলেম ওলামাগন উপস্থিত ছিলেন।