নগর সংবাদ।।
হজরতুল আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহের (মজিআ) নেতৃত্বে বুধবার (২০ অক্টোবর) নগরের মুরাদপুর আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বের হবে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবীর (স.) জশনে জুলুস। ১৯৭৪ সাল থেকে এ জুলুসের আয়োজন করে আসছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
এ জুলুসে লাখো মানুষের সমাগম হয়।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকাল ৮টায় জুলুস শুরু হবে।
এরপর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ, অলিখাঁ মসজিদ, কেয়ারী মোড়, চট্টগ্রাম কলেজ, গণি বেকারী (ডানে মোড়), খাস্তগীর স্কুল (ডানে মোড়), আসকার দীঘি, কাজির দেউড়ি (ডানে মোড়), আলমাস (বামে মোড়), ওয়াসা (ডানে মোড়), জিইসি, ২ নম্বর গেট, পুনরায় মুরাদপুর (বামে মোড়), বিবিরহাট প্রদক্ষিণ পূর্বক জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে জমায়েত। দুপুর ১২টায় মাহফিল।
মাহফিল শেষে জোহরের নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিমধ্যে জুলুসকে ঘিরে জৌলুস বেড়েছে চট্টগ্রাম নগরের।
প্রধান প্রধান সড়কে তোরণ, সড়কদ্বীপ ও সড়ক বিভাজকে ব্যানার, ফেস্টুন, বর্ণিল বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। ঢাকার জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে সোমবার হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন হজরতুল আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহের (মজিআ)।
প্রতিবছরের মতো এবারও জুলুসের শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন। ইতিমধ্যে জুলুস সফল করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন আয়োজকরা।
পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ.) এর জশ্নে জুলুছ ও মাহফিলসহ নামাজে অংশগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পীরভাই ও সুন্নি জনতার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।