ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৪৬ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এদের মধ্যে ২৯ জন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও ১৭ জন সহকারী কমিশনার (এসি) আছেন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) তাদের ‘শোকজ’ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ঈদের পরদিন ২৩ এপ্রিল আয়োজিত ডিএমপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ৪৬ কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন। এটি অপেশাদার ও শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈধ আদেশ অমান্য করার শামিল।
এ ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে তা প্রতিফলিত হবে না, তা তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
কারণ দর্শানো নোটিশের বিষয়ে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ঈদে যাদের ছুটি ছিল না, এমন কর্মকর্তাদের জন্যই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাদের উপস্থিত থাকতে একাধিকবার খুদে বার্তা ও মোবাইলে কল করে জানানো হয়। এটা অনেকটা অফিস ডিউটির মতো। অফিসের দায়িত্ব পালন না করলে যেমন কর্মকর্তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়, এখানেও তেমনি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একটা সুশৃঙ্খল বাহিনীতে এটা জরুরি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিএমপির অনুষ্ঠানে উপস্থিতি কম দেখে কমিশনার বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানতে চান। পরে অনুষ্ঠানে যারা আসেননি, তাদের একটি তালিকা করা হয়। সেই তালিকা ধরে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, এটা একটা অফিসিয়াল প্রোগ্রাম। অফিসিয়াল প্রোগ্রাম হলে সেখানে নৈতিকভাবে এবং সরকারি সার্কুলার অনুসারে উপস্থিত হতে বাধ্য কর্মকর্তারা। যারা অনুষ্ঠানে আসেননি, তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, কেন তারা আসতে পারেননি।
২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে ঈদপরবর্তী ওই পুনর্মিলনীর আয়োজন করে ডিএমপি। এ আনন্দ আয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান ও গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।