নগর সংবাদ।।রাজধানীবাসীর ঈদ বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রস্থল মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ঈদের দিন গরু কোরবানি দেওয়ার বাড়তি চাপ থাকায় দর্শনার্থী কম থাকলে আজ সোমবার (১১ জুলাই) চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীতে ভরে গেছে।
প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এ দিন চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন।
এদিন সরেজমিনে চিড়িয়াখানা গিয়ে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। অতিরিক্ত দর্শনার্থীর জন্য পা ফেলার মতো জায়গা ছিল না কোথাও। পরিবার, বান্ধুবান্ধব নিয়ে অনেকে বেড়াতে এসেছেন। ঈদে চিড়িয়াখানায় বাড়তি বিনোদন উপভোগ করে অনেককেই আবার বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর থেকে কয়েকজন বন্ধু ঘুরতে এসেছেন চিড়িয়াখানায়। তাদেরই একজন সোহরাব হোসেন। কথা হলে তিনি বলেন, কোরবানির ঝামেলা থাকায় প্রথমদিন আসতে পারিনি। সেজন্য বন্ধুদের নিয়ে আজ চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছি।
অন্য বন্ধু বিল্লাল বলেন, ঈদের দিন বাড়ি যেতে পারিনি বলে আজ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সকালে এখানে এসেছি, সারাদিন ঘুরলাম।
ঈদে ঢাকার বাইরে থেকেও ঘোরাঘুরি করতে এসেছেন অনেকে। ফাঁকা ঢাকায় ঘুরতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা পরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়ায় অতিষ্ঠ হচ্ছেন।
ঝিনাইদহ থেকে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ঘুরতে এসেছেন সোহানুর রহমান। চিড়িয়াখানা ঘুরতে এসে গণপরিবহনে ‘ইদ বকশিস’ নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
পরিবহনের ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য হচ্ছে উল্লেখ করে অন্য এক যাত্রী বলেন, বসুন্ধরা থেকে চিড়িয়াখানায় আসতে ৫০ টাকা ভাড়া দেওয়া লাগল। ঈদ বকশিসের নামে ডাবলের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।
চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় চিড়িখানা দেখতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। তবে অনেক গরমে চিড়িয়াখানা পুরোটা বেড়ানো সম্ভব হবে কি না বুঝতে পারছি না।
এদিকে অভিযোগ আছে চিড়িয়াখানা এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে দর্শনার্থীরা খেতে আসলে তাদের কাছ থেকে ‘গলাকাটা’ দাম নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সাবিনা হোসেন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, আমার বাচ্চার ক্ষুধা লেগেছে বলে জুস নিলাম। ৮০ টাকার জুসের দাম দিতে হল ৩০০ টাকা।
জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদে দর্শনাথীদের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগত দর্শনাথীদের সুবিধা দিতে তারা সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, পুরো সীমানাজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ভাঙা খাঁচা ও সেড নতুন করে সংস্কার ও স্থাপন করা হচ্ছে। বাড়তি গাড়ি পাকিং সুবিধা তৈরি করা হয়েছে।
কিউরেটর মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ঈদের দিন গরু কোরবানি দেওয়ার কারণে বাড়তি চাপ থাকায় দর্শনার্থী কম হলেও আজ (সোমবার) দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক। এ রকম অতিরিক্ত দর্শনার্থীর চাপ আরও ২-৩ দিন থাকবে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আজ ঘুরতে এসেছেন চিড়িয়াখানায়।