উত্তরের হিমেল বাতাস আর মেঘে ঢাকা সূর্য। দুইয়ে মিলে কনকনে শীত বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। আর এই কনকনে ঠাণ্ডায় জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের জন সাধারণ আর ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এদিকে এই বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করতে থাকলে জনজীবন বিপর্যস্ত হবে বলে জানান খেটে খাওয়া মানুষেরা।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে কুয়াশার প্রকোপ কম থাকলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। একদিকে বিকেল তিনটা পর্যন্তও সূর্যের দেখা মেলেনি, অন্যদিকে বইছে উত্তরের বাতাস- সব মিলিয়ে শীতে জবুথবু মাদারীপুরের প্রান্তিক জনপদের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে শীতের তীব্রতা থাকায় বিপাকে পড়ছেন কর্মজীবীসহ সাধরাণ মানুষেরা। বিশেষ করে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শীতের কারণে মাঠ-ঘাট প্রায় ফাঁকা। ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে তেমন একটা দেখা যায়নি দিনমজুরদের। রিকশাভ্যান-ইজিবাইকের সংখ্যাও কম রয়েছে রাস্তায়। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ফলে জেলার তৃণমূল পর্যায়ের হাট-বাজারেও লোকসমাগম কম।
জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা মো. জলিল বলেন, সকাল থেকেই প্রচুর শীত। সকালে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল। ঠাণ্ডায় বাজারে বসে থাকা কষ্টকর। আজ বিক্রি কম হয়েছে।
জেলার শিবচরের পদ্মাবেষ্টিত চর এলাকার বাসিন্দা মো. হাশেম বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই প্রচুর শীত পড়ছে। তবে আজ (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে শীত বেশি। উত্তরের বাতাসের কারণে শীত বেড়েছে। তাছাড়া চর এলাকা খোলামেলা থাকায় বাতাস বইলে শীত বেড়ে যায়। তারপর আবার রোদ নেই। সব মিলিয়ে চরের মানুষের জীবন অনেক কষ্টের।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, শীতের কারণে আজ ক্ষেতে যেতে পারিনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর। আমাদের মতো বয়স্কদের কাছে শীত বেশি মনে হয়। হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
এদিকে শীতের কারণে জেলায় শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। ফলে বেড়েছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ বিক্রি। ওষুদের দোকানি মো. ইরফান বলেন, বিকেল হলেই দোকানে শিশুদের ঠাণ্ডা-কাঁশির ওষুধ নিতে ভিড় পড়ে যায় মায়েদের। গত কয়েক দিনে ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ বিক্রি বেড়েছে।