উল্টো রথের শুভ সূচনা করলেন, সুব্রত বক্সির পত্নী শাহানা বক্সী, যিনি প্রতিবছর এই দিনটিতে উপস্থিত হন, তিনি আরতির মধ্য দিয়ে এই রথের শুভ সূচনা করলেন, এবং যে সকল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা নৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, তাদেরকে সম্মানিত করলেন একটি করে মালা পরিয়ে। উপস্থিত ছিলেন গুরুদেব যিনি আচার অনুষ্ঠান মেনে এবং নারকেল ফাটিয়ে রথের দড়িতে টান দেয়ার অনুমতি দিলেন।
সকাল থেকে মেঘ পরিষ্কার থাকলেও মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামতে থাকে।, ঠিক দুপুর একটায় রথের দুইটি টান পড়ার সাথে সাথেই মেঘ কালো করে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়, তবুও ভক্তরাত থেমে নাই, রাস্তার দু’ধারে অগণিত মানুষ ও ভক্তরা শাড়ি বদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে জগন্নাথের এই যাত্রা দেখতে থাকেন।
বৃষ্টি মুষলধারে হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনভাবে খামটি ছিল না, বৃষ্টিতে ও তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, এ কোন রকম ভক্তদের অসুবিধে না হয়, এমনকি গুরুদেবরা যা হাতে রথ গুলিকে সুস্থভাবে নিয়ে যেতে পারেন তাহার চেষ্টা করেছেন। দুপুর একটায় রথের দড়িতে টান পড়ে এবং পার্কস্টীট যেখানে আট থেকে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত মেলার আয়োজন করা হয়েছিল,
সেখান থেকে ধর্মতলা এস এন ব্যানার্জী রোড, মৌলালি, মল্লিক বাজার, থিয়েটার রোড হয়ে পুনরায় ইসকন মন্দিরে পৌঁছালো রথ ভক্তদের জয়ধ্বনিতে, জয় জগন্নাথের জয়ধ্বনির মধ্য দিয়ে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা সমবেত হয়েছিলেন এই রথের দড়িতে টান দিতে। সর্বধর্মের মানুষ রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষমান ছিলেন কখন রথ সেই রাস্তা দিয়ে যাবে, এবারে ৫৩ তম রথযাত্রার শেষ দিন।