রাজধানীর বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় রূপম দত্ত নামের এক যুবক রকি (২২) নামের আরেক যুবককে নাম ধরে ডাকায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রূপম দত্ত, শাতিল ও শোয়েব ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় আড্ডা দেওয়ার সময় রকির সঙ্গে আবারও কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে রকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকেই কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে শাতিলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রোববার রাতে আটক প্রধান অভিযুক্ত রকিকে (২২) সোমবার গ্রেপ্তার দেখিয়েছি পুলিশ।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানান বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, রোববার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় শাতিল খুনের ঘটনায় তার বাবা বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রকিকে রোববার রাতে আটক করা হয়েছিল। আজ (সোমবার) মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থী আশফাকুর রহমান চৌধুরী শাতিল হত্যার ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাড্ডা থানায় শাতিলের বাবা মনিরুজ্জামান চৌধুরী বাদী হয়ে রকিকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি করেন।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রকি জানায়, রূপম দত্ত নামের এক যুবক তাকে নাম ধরে ডাকায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। গতকাল সন্ধ্যায় রূপম দত্ত, শাতিল ও শোয়েব ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় রকি এলে তাদের মধ্যে আবারও কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকেই কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে শাতিলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য রোববার রাতে রকি হাতে আঘাতের নাটক সাজিয়ে থানায় মামলা করতে আসে। প্রকৃত ঘটনা জানতে পুলিশ রকিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু রকির সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় রাতেই তাকে আটক করা হয়। আজ শাতিলের বাবার দায়ের করা মামলায় রকিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’