শুক্রবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা ৭:০৭
শিরোনামঃ
Logo রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর সাত টুকরো মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নারী গ্রেফতার Logo নদীর তীরবর্তী ভাঙন এলাকার উন্নয়নের গুরুত্ববোধে সুষম বণ্টন করা হবে-সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo খুলনায় বিষাক্ত খাবার খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যুর অভিযোগ Logo চুরির উদ্দেশ্যে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ,দুজনকে গ্রেপ্তার  Logo দাম্পত্য কলহের জেরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আত্মহত্যা স্বামীর  Logo বিআরটিসি এবার চেসিস কিনে বাস বানাতে যাচ্ছে Logo নীলফামারীর জলঢাকা থানার আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং মত বিনিময় সভা ও ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত। Logo চুপ করে থাকার উপকারিতা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় Logo বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে কর পরিশোধে ফি বা চার্জ বেঁধে দিল Logo যুবলীগের সভাপতি তিন মাসেরও বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পর বের হলেই গুরুতর কুপিয়ে জখম 

এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে জানতে পারে ভর্তি প্রক্রিয়াটাই ছিলো ভুয়া

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: আগস্ট, ১৭, ২০২৩, ৯:০৬ অপরাহ্ণ
  • ১৩৫ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

 

 

এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে জানতে পারে ভর্তি প্রক্রিয়াটাই ছিলো ভুয়া

যাবতীয় ফি দিয়ে ভর্তি হয়েছেন, কলেজ ইউনিফর্মে নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা সবকিছুতেই অংশ নিয়েছেন। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে জানতে পারলেন তারা শিক্ষার্থী নন। ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজে।

অনলাইনে আবেদন করে ভর্তির সুযোগ পায়নি রাশেদুল হক, মিলন হাসান, উম্মে হাবীবা ও শারমিন আক্তার। পরে তাদের থেকে বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অফলাইনে ভর্তি করানোর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেন কলেজের দুই কর্মচারী হারুন মিয়া ও আব্দুল হান্নান। শিক্ষার্থীদের কলেজ প্যাডে দেওয়া হয় ভর্তির রশিদ। এই দুই বছরে কলেজের নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেন তারা। পরে এইচএসসির ফরম পূরণসহ বিভিন্ন ফি’র নামে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু পরীক্ষার আগে আর প্রবেশপত্র পায়নি এ চার পরীক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে তারা জানতে পারে ভর্তি প্রক্রিয়াটাই ছিলো ভুয়া।

জানা যায়, সর্বশেষ এই শিক্ষার্থীদের থেকে এইচএসসির ফরম পূরণ বাবদও ৫ হাজার টাকা করে নেন মাস্টাররোলের কলেজ কর্মচারী হারুন। কলেজের অন্যান পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র পেলেও তাদেরটা আসেনি। হারুনের কাছে প্রবেশপত্র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। পরীক্ষার আগেই প্রবেশপত্র দিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে পরীক্ষা শুরুর পর জানতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এ ঘটনার পরপরই প্রধান অভিযুক্ত সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অফিস সহায়ক হারুন পালিয়ে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন প্রতারণার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন আরেক অভিযুক্ত কলেজের কর্মচারী আব্দুল হান্নান।

ভুক্তাভোগী শিক্ষার্থী মিলন হাসান বলেন, বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রমিকের কাজ করে দিনে কলেজ ও পড়াশোনা করতাম। হারুন ও হান্নান মিলে এই দুই বছরে আমার থেকে অন্তত ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। এই কলেজেই দুই বছর নিয়মিত ক্লাস করেছি ও পরীক্ষা দিয়েছি। সবই ছিল ভুয়া। জীবনের সব শেষ হয়ে গেল।

আকে ভুক্তভোগী উম্মে হাবিবা বলেন, এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে হারুনের কাছে টাকা দিয়েছিলাম। কলেজ ড্রেস, ব্যাচ, রোল নম্বর সবই আছে। কলেজের রশিদে এতদিন সব কাজ হয়েছে। পরীক্ষার সময় জানলাম আমি শিক্ষার্থীই নয়! এর সুষ্ঠ বিচার চাই। আমাদের জীবন নষ্ট হয়েছে এর দায় কে নেবে?

অভিযোগ স্বীকার করে কলেজের অফিস সহায়ক আব্দুল হান্নান বলেন, একজনের ভর্তির টাকা নিয়েছিলাম। সব টাকাই হরুনকে দিয়েছি। এটাই আমার ভুল।

আরেক অভিযুক্ত হারুনের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

সরকারী শাহ সুলতান কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফসর রেজাউন নবী বলেন, অন্তত ১৫ শিক্ষার্থীর প্রতারণার খবর শুনেছি। বিষয়টি ঘৃণ্য অপরাধ। শেষ মুহূর্তে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। জড়িতদের চিহ্নিত করে সর্বচ্চো শাস্তি দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আগামীতে করণীয় নিয়েও আমরা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবো।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell