নগর সংবাদ।।রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে অন্যবারের তুলনায় এবার বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর দাম ও চাহিদা অনেক বেশি।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ছাড়াও বিভিন্ন কারণে মানুষ বড় গরু কেনার কথা ভাবছে না।
সেই সুযোগে বেপারি ও মালিকরা ছোট-মাঝারি গরুর দাম একটু বেশিই চাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গরুর হাট গাবতলীতে এবার এখনও পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়নি। কারণ ঈদের এখনও এক সপ্তাহ বাকি। তাছাড়া হাটে এখনও প্রচুর গরু আসেনি। তাই বেচাকেনাও তেমন হচ্ছে না।
তবে আগামী দুই দিনের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চায় হাট কর্তৃপক্ষ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর শহরতলিগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। বিক্রিও হচ্ছে। সবখানেই ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম অনেক চড়া। বিক্রেতা ও খামারিরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় গরু পালনে ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ।
দেশের বন্যার কারণে গরুর হাটে বা দামের দিক দিয়ে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে কুষ্টিয়া থেকে আসা গরুর ব্যাপারী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বন্যার কারণে এবার কোরবানির পশু বেচাকেনায় কোনো সমস্যা হবে না, কারণ পর্যাপ্ত গরু আছে। এমনকি বিদেশ থেকে গরু না আনলেও সুন্দরভাবে চাহিদা মেটানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমি এ বছর আটটা গরু এনেছি। আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
এদিকে হাটের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে হাট ও হাটসংলগ্ন এলাকা।
মাঠের বেশিরভাগ এলাকাতে ত্রিপল লাগানো হয়েছে, যাতে বৃষ্টিতে কোনো পশু না ভিজে যায়।
গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম প্রতি মণে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। দুই থেকে আড়াই মণ ওজনের ছোট আকারের যে গরু গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়, এবার তার দাম চাওয়া হচ্ছে এক লাখ থেকে একলাখ বিশ হাজার টাকা।
মো. আকরাম সরদার বলেন, এক বছরের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে প্রায় ১২০ টাকা। শুধু মাংসের হিসাবেই এক মণে (৪০ কেজি) দাম পাঁচ হাজার টাকার বেশি। এর সঙ্গে গো–খাদ্য ও মানুষের খাবারের দামও বাড়তি। সব মিলিয়ে স্থানীয় হাটবাজারেই এবার গরুর দাম বেশি।