দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল। তিনি এখন স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। শিল্পীর দুই ছেলে শ্রেয়াশ ও আরশ তার সঙ্গে সেখানে অবস্থান করছেন। টুটুল সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। প্রবাসের বসবাসের আনন্দময় বিভিন্ন সময়ের ছবির তার ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কথাও তিনি লেখেন। আজ তিনি তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
টুটুলের এ স্ট্যাটাসটি তার দুই ছেলে শ্রেয়াস ও আরশকে নিয়ে নিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার ছেলেরা এখন কী করছেন। স্ট্যাটাসে টুটুল লিখেছেন, ‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন আমার কথা। আমরা তিন বাপবেটা এখন আমেরিকাতেই থাকি। শ্রেয়াস একটা গাড়ি কোম্পানিতে ডিরেক্টর অব সেলস অ্যান্ড ফাইন্যান্স আর আরশ পড়ছে কিংস হাইস্কুলে গ্রেড নাইন এ।’
পাশাপাশি টুটুল তার নিজের কাজ নিয়ে লেখেন, ‘এখানে আমার নিজের একটা স্টুডিও আছে, যেখানে সব ইকুইমেন্টস হাইলি প্রফেশনাল। আপনাদের সবার জন্য অনেক দোয়া রইলো, আমাদের জন্যে দোয়া করবেন।’ স্ট্যাটাসের সঙ্গে টুটুল ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে তোলা কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছেন।
টুটুলের এই স্ট্যাটাসে তার ভক্ত-অনুরাগীরা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। অনেকে তার দুই ছেলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। কেউ কেউ আবার বিরূপ মন্তব্যও করেছেন। শিলা খন্দকার নামের একজন মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘বহুদিন পর শ্রেয়াসকে দেখছি, টুটুল ভাই সত্যি অসাধারণ বাবা। সেই প্লে গ্রুপে অন্যান্য বাবা-মায়ের সাথে ব্যস্ততার মাঝেও পুরো সময় বাচ্চার জন্য দেওয়া!’
অন্যদিকে আশিকুর রহমান নামে একজন মজা করে লিখেছেন, ‘আপনি কি এখনো এসআই আছেন, নাকি প্রমোশন হয়েছে?’
প্রিয় শিল্পী টুটুলকে একজন পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘অবৈধ পথে কখনো পা বাড়াবেন না ভাই। একটু কষ্ট হলেও সৎ পথে উপার্জন করে চলার চেষ্টা করুন। আপনার ও আপনার ছেলেদের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।’
এস আই টুটুল একাধারে গায়ক, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও সুরকার। শৈশব থেকেই টুটুলে গানের প্রতি অনুরাগ। গানকেই তিনি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। পিয়ানোর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিলেও বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন তিনি। টুটুল নিজেই একজন শব্দ প্রকৌশলী।
‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার জন্য ২০০৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্রে সেরা সংগীত পরিচালক ও ২০১০ সালে সেরা প্লেব্যাক সংগীতশিল্পীর পুরস্কারে ভূষিত হন টুটুল। ‘নিরন্তর’ সিনেমার জন্য ২০০৬ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সংগীত পরিচালক হিসেবে আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন এ শিল্পী।