আজ ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ঠিক দুপুর আড়াইটায়, সি ইএস সি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এস এফ আই ও ডি ওয়াই এফ আইয়ের কর্মীরা জমায়েত হয়ে, দুপুর তিনটে মিছিল সহকারে ডরিনা ক্রসিং এর শোভা স্থলে আসেন, তারা বিভিন্ন দাবি নিয়ে মিছিল করে সভায় বিক্ষোভ দেখান, ছাত্র যুবদের জীবনের জ্বলন্ত সমস্যা গুলির দাবি আদায়ের জন্য আজকের এই সভা, তারা বলেন
দাঙ্গাবাজ দুর্নীতিবাজ দূর হটাও শিক্ষা ও কাজের অধিকার চাই। আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, ডি ওআই এফ আই মোঃ সেলিম, রাজ্য সম্পাদক ডি ওয়াইএফ আই মীনাক্ষী মুখার্জি, রাজ্য সম্পাদক sfi সৃজন ভট্টাচার্য, রাজ্য সভাপতি এস এফ আই প্রতীক উর রহমান।
সভাপতি বিকাশ ঝা, জেলা সম্পাদক ডি ওআই এফ আই পৌলবী মজুমদার, জেলা সম্পাদক এস এফ আই মোঃ আতিফ, জেলা সভাপতি এস এফ আই দেবাঞ্জন দে, সহ অন্যান্যরা আজকের সভায় দাঁড়িয়ে তারা বেশ কিছু দাবি জানান রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে , এর সাথে সাথে ভোট করার দাবী জানান।
দাবিগুলি হল,,,,, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল করতে হবে, স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বহিরাগত সমাজ বিরোধী মুক্ত, র্যাগিং বিরোধী ক্যাম্পাস, গড়তে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে । কলকাতা কর্পোরেশন সহ কেন্দ্র, ও রাজ্য সরকারের সমস্ত শূন্য পদে স্থায়ী ও স্বচ্ছ নিয়োগ চাই। ন্যূনতম ৬০০০ টাকা বেকার ভাতা দিতে হবে, সকল কর্মক্ষেত্রে অবাধ ছাটাই বন্ধ করতে হবে। গাছ কাটা ,পুকুর ভরা, বেআইনি প্রোমোটার, ও নির্মাণ বন্ধ করে, কলকাতার পরিবেশ রক্ষার লড়াইকে শামিল করার আহ্বান জানান,।
ধর্মের সাথে রাজনীতি মেশানোর তৃণমূল ও বিজেপি আর এস এস এর অপচেষ্টা বাতিল করতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সকল অভিযুক্ত নেতা, মন্ত্রী সহ সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, আজকের সভায় এই দাবিগুলি ছাড়াও ,কলকাতার মহানগরী ও মন্ত্রী ববি হাকিম সহ, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং মাননীয় মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। শুধু তাই নয় রাজ্যপালের লাগাম ছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন। তারা জানালেন বিভিন্ন দপ্তরে হাজার হাজার শূন্যপদ খালি, অথচ বেকার ছেলেরা চাকরি পেয়েও তারা রাস্তায় বসে এবং আমরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আজও এই ধর্মতলার বুকে সভা করে চলেছি ,তবুও লজ্জা নাই রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের ,একের পর এক স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত, ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাকে শেষ করে দেয়ার চক্রান্ত, অথচ পুজো অনুষ্ঠান হলে সেখানে টাকা দেয়ার জন্য মাননীয় মন্ত্রী উঠে পড়ে লাগেন, শুধু তাই নয় বেশ কিছু স্কুলে মিড ডে মিল খাবার করতে সবজি কেনার পয়সা নাই, অথচ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বেলায় পয়সা খরচা করছেন লজ্জা কর ব্যাপার, তাই আমরা এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আজকে সবাই শপথ নেব, অবিলম্বে দুর্নীতিমুক্ত হোক এবং নির্বাচন করা হোক, আমরা এতদিন ধরে দাবি জানিয়ে এসেছি, এর সাথে সাথে বলেন কিসের এত ভয় নির্বাচন করতে।। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল উঠে পড়ে লেগেছে বেআইনিভাবে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু করে চলেছেন। যোগ্যতা বিচারের বালাই নাই।, শুধু উপাধি পাওয়ার জন্য দৌড়ে চলেছেন একটা থেকে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে,