লক্ষীপুরের রামগঞ্জ পানপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পায়ে শিকল বেধে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারন করার অপরাধে শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম সহিদ ও শিক্ষক আশেকুর রহমান তারেককে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতনে শিকার শিক্ষার্থী আরমান হোসেনের মা লাকি বেগমের দায়ের করা মামলা শনিবার দুপুরে দুই শিক্ষককে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ইং সনে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শহীদুল ইসলাম উপজেলার পানপাড়া বাজারে দারুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসাতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। শহীদুলের নিজ বাবা মফিজুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, নিজ স্ত্রী রাশেদ বেগম ও নিজের নিকট আত্বীয়কে নিয়ে একটি পরিচালনা কমিটি করে ১১জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে মাদ্রাসাটি পরচালনা করে আসছেন। এ সুবাদে শিক্ষক ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র আরমানসহ ৫শিক্ষার্থীর পায়ে শিকল পড়িয়ে সাপ্তাহব্যাপী অমানবিক নির্যাতন চালায়। এ ছাড়াও একই বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন কে দিয়ে শহীদুল
শরীর ম্যাসেজ করিয়েও বর্বর নির্যাতন করেন। মাদ্রাসার শিক্ষক আশেকুর রহমান তারেক বিষয়টি প্রতিবাদ জানিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। নির্যাতনে শিকার শিক্ষার্থীরা বলেন,পড়া-লেখা,খাওয়া-ধাওয়া,ঘুমানো এমনকি ওয়াশ রুমে থাকার শিকল বাধা অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। গ্রেফতারের পুর্বে শিক্ষক আশেকুর রহমান তারেক বলেন,প্রতিষ্ঠানের প্রধান দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে।নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কয়েকদিন পুর্বে প্রধান শিক্ষক আমাকে চাকুরীচ্যুত করে। অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, কিছু শিক্ষার্থী পড়া-লেখা না করে প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের পরামর্শে শিকল বেধে রাখা হয়। মাদ্রাসা থেকে চাকুরীচ্যুত শিক্ষক আশেকুর রহমান তারেক চুরি করে ভিডিও ধারনা করে আমাকে বিপদে ফেলেছে। রামগঞ্জ মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান,রামগঞ্জ থানাতে নির্যাতনে শিকার শিক্ষার্থী আরমান হোসেনের মা লাকি বেগমের দায়ের করায় এজাহার তদন্ত করে শুক্রবার রাতে মামলা রুজু করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।