আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, জনগণ আপনাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ ন্যায়বিচার চায়।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা জনগণকে ফিরিয়ে দেবেন না। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনারা জনগণের যে প্রাপ্তি বা নায্য অধিকার এটা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। স্বাগত বক্তব্য দেন শেখ আশফাকুর রহমান।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ দেশ ওভারনাইট স্বাধীন হয়নি। কারো দয়ায় স্বাধীন হয়নি। আজকে ভাষার মাসে বলতে হয় বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য আমাদের দেশের সন্তানদের প্রাণ দিতে হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস আছে, মানুষের ঐতিহ্যের ইতিহাস রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আমাদের কাছে মূল্যবান। কারণ বিট্রিশ শাসনামল বাদ দিলেও ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত আমরা যখন আদালতে বিচারের জন্য গেছি ন্যায়বিচার পাইনি। যখন আমরা স্বাধীন হই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সংবিধান দিয়েছেন।
সবকিছু করার মূখ্য ছিল জনগণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগে যে বিচারটা আপনারা করবেন সেই ন্যায়বিচারটা যেন জনগণ পায়। এটাই আপনাদের দায়িত্ব। আপনাদেরকে সেভাবে তৈরি করাই আমাদের দায়িত্ব। বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করব না। তার কারণ আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের শান্তি, জনগণের অধিকার। জনগণ যেভাবে ভালো থাকে সেই কাজটি করা। ভবিষ্যতে ডিজিটাইজ বিচার বিভাগ হবে, স্মার্ট জুড়িশিয়ারি হবে। সেই জুড়িশিয়ারির জন্য আপনাদের তৈরি করা।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৩৭ লাখ মামলার জট রয়েছে। এই মামলার জট আজকে হয়নি। আমাদের সরকার যেদিন থেকে দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত হয়েছে সেদিন থেকে মামলার জট কীভাবে কমানো যায় আমরা সেই চেষ্টাই করছি।