নগর সংবাদ।।ওরা কারা?পরীমনির মুক্তির দাবিতে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে!
মাদক মামলায় আটক হয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। এ কদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তার পক্ষে আওয়াজ তুললেও নায়িকার মুক্তির দাবিতে পথে নামেনি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা মিলল সেই চিত্র। নয়া পল্টনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গুটি কয়েক মানুষ। না, পরিচিত কোনো মুখ নয়। মিডিয়ার সঙ্গেও তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবু পরীমনির মুক্তির দাবিতে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু কারা ওরা ? তারা কেনই বা ?পরীমনির মুক্তির দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন? ব্যানারে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সেটির এক পাশে চিত্রনায়িকা পরীমনির ছবি, আরেক পাশে এক ব্যক্তির ছবি। ব্যানারের লেখা থেকে জানা যায়, ছোট্ট এই মানববন্ধনের নেতৃত্বে রয়েছেন ওই ব্যক্তিই। নাম কবি জগদীশ বড়ুয়া পার্থ। নিজের পরিচয় দিয়ে ব্যানারে তিনি লিখেছেন, ‘এই সেই কবি জগদীশ বড়ুয়া পার্থ, ২০১৮ সালে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।’ তার উপরে লেখা রয়েছে একটি স্লোগান। সেটি হলো, ‘সাগর পাড়ের মানুষ আমি, বিশাল আমার মন। এই মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে সোনার বাংলার জনগণ।’ ব্যানারে লেখা বক্তব্য হলো, ‘অন্ধকারে ওরা কারা, পরীমনি সবার সেরা।’ ‘বড় ফাদার ও বড় মাদারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুন।’ ‘বাংলার মাটিতে লক্ষ লক্ষ নারী নির্যাতিন ভিকটিম আছে, এরা এখনো সুবিচার পাচ্ছেন না? উক্তিটি শামসুন্নাহার স্মৃতির।’ ‘১৯৯৬ সালে সবার প্রিয় নায়ক সালমান শাহর হত্যাকারীকে এইবার খুঁজে বের করতে হবে।’ ‘বর্তমানে আমি কবি জগদীশ বড়ুয়া পার্থর কোনো মামলা নাই। আজ থেকে আমার উপরে হামলা ও মামলা আসতে পারে।’ ব্যানারের একেবারে উপরে লেখা, ‘জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় আমরাই অগ্রদূত’। তার নিচে লেখা, অবিলম্বে পরীমনির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন। একেবারে নিচে লেখা, ‘বাংলা প্রশাসনকে আগাম বলে রাখলাম।’ যোগাযোগের জন্য এর পাশেই নিজের ফোন নম্বর দিয়েছেন জগদীশ বড়ুয়া পার্থ নামে ওই ব্যক্তি। গত ৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে বিপুল মাদকসহ আটক করে র্যাব। পরে তার নামে বনানী থানায় মাদক আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় নায়িকাকে প্রথমে চার দিন এবং পরে আরও দুই দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। সেই মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, তদন্তের স্বার্থে আবারও পরীমনির রিমান্ড চাইবে সিআইডি।