ওরা নির্বাচন চায় না; ওরা চায় দেশে একটা অরাজকতা হোকবলে আশঙ্কা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, আমরা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। আমরা যদি ক্ষমতাচ্যুত হই তাহলে এক রাতের মধ্যেই ৬৫ হাজার লোক মারা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজে বর্ধিত সভায় দেওয়া বক্তব্যে এ আশঙ্কার কথা জানান এমপি শামীম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
রাজনীতি একটা কৌশল উল্লেখ করে এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘এ কৌশল আমরা কীভাবে নেবো তা বসে ঠিক করতে হবে। ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি ক্রিটিক্যাল। আমাদের বুঝে-শুনে পা ফেলতে হবে। আমরা কারও গণতান্ত্রিক অবস্থানে বাধা দেবো না। এটা নেত্রীর নির্দেশ না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ৪ তারিখ দেশের মানুষ জাতির পিতার কন্যাকে কতটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করতে হবে। এটা যখন শাপলা চত্বরে হবে আমাদের বিশ্বাস সেদিন সেখানে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশটা হবে।’
‘দেশে এখনো জামায়াতে ইসলামী কথা বলে বিএনপির কারণে’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ এমপি বলেন, ‘জামায়াত বিএনপিকে পরিচালনা করছে। লন্ডনে যে খুনিটা বসে আছে তাকে জামায়াতে ইসলামী পরিচালনা করছে। কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে তারা ফেল করবে। তাই ওরা নির্বাচন চায় না; ওরা চায় দেশে একটা অরাজকতা হোক। এর পেছনে পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাষ্ট্র কাজ করছে। ওরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এসব করছে না; এটা করছে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে।’
এসময় ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন চেয়ে তিনি বলেন, ‘এক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বসে আছে। আমি কোনো থানা কমিটি দেখতেও যাইনি, ফতুল্লায়ও যাইনি; কারণ সবাইতো আমারই লোক। আমার স্বেচ্ছাসেবক লীগ কার জন্য ভেঙে দেওয়া হলো আমি জানি না। আমাদের ত্যাগী লোকদের মূল্যায়ন করা দরকার। খন্দকার মোশতাক আহমেদ চাই না। এরা অনেক নাটকবাজ হয়।’
সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।