অস্ত্রসহ প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার, কারাগারে ১৫ কক্সবাজারের চকরিয়ায় অভিযান চলাকালে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি মোহাম্মদ রাকিবকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার রাকিব বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা মোহছেনিয়াকাটা (হাফালিয়াকাটা মোড়াপাড়া) গ্রামের রশিদ আহমদের ছেলে। এর আগে ২৬ এপ্রিল রাতে রাকিবকে প্রধান আসামী করে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা করেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু দে। প্রথমদিন নারীসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের বুধবার রাতেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব সরকার বলেন, মঙ্গলবার রাতে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম আল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আসামি ধরতে অভিযানে যায় মহছনিয়াকাটা এলাকায়। এ সময় রাকিবকে অস্ত্রসহ দেখতে পেয়ে আটকের চেষ্টা চালালে তার ডাকে ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ মিলে পুলিশের ওপর হামলায় চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন পুলিশকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে এসআই শামীম, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুনের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হন। অস্ত্রসহ প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার, কারাগারে ১৫ এসআই রাজিব আরও বলেন, হামলার ঘটনা জানতে পেরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হামলার সঙ্গে জড়িত নারীসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রধান অভিযুক্ত রাকিব পলাতক ছিলেন। বুধবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে রাকিব অটোরিকশায় বাড়ি ফেরেন। এসময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কথা মতো বাড়ি থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করা হয়। ওসি আরও বলেন, রাকিব বাড়িতে রাখা অবৈধ অস্ত্র সরিয়ে রেখে গা-ঢাকা দিতে বাড়ি ফিরছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি ও অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে।