দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নতুন নতুন মাদক আইস, এলএসডি, ক্রিষ্টাল মেথ ও ইয়াবা শনাক্ত ও উদ্ধার করা হলেও বেশিরভাগ সময়ই মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। উখিয়া-টেকনাফের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সড়ক পথের পাশাপাশি আকাশ পথ ও নৌপথ নিয়ন্ত্রণ করেন। বড় চালান আসে সাগর পথে। মিয়ানমার থেকে নদী পথে আসে ইয়াবা। ইয়াবা কারবারীদের সাথে বড় বড় নেতার যোগসাজশ থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটা এগুচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪টি সংস্থা মাদক পাচার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের তালিকা আপডেটের কাজ করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি মাসে মাদকের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ সদর দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সুস্পষ্টভাবে বলেন, কক্সবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সারা দেশের ইয়াবার আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দাংগরপাড়া এলাকার লেলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহ। মাছ ধরার কাজ করেন একই এলাকার মন্জুর মাঝির ট্রলারে। তাকেই মিয়ানমারে বন্ধক রেখে আনা হয় ৫ লাখ ইয়াবার একটি বড় চালান। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। সপ্তাহ পার হওয়ার পর টাকা পরিশোধ না করায় ওই যুবকের কপালে নেমে এসেছে ভয়াবহ নির্যাতন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, এক দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে খুন করারও হুমকি দেয়া হচ্ছে মিয়ানমারে আটক থাকা যুবককে। পরে জমি বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান ওই যুবক। শুধু এ ঘটনায় নয়, এ ধরনের ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে টেকনাফে। আইনশৃঙখলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে ইয়াবা পাচারে পেশাদার জেলেদের বেছে নেয়া হচ্ছে। উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা গফুর মিয়া চৌধুরী বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি কক্সবাজার উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এসব অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, খুন, নারী নির্যাতন ও ইয়াবা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয় ইয়াবা কারবারির হাত রয়েছে।
উখিয়ায় হঠাৎ বড় লোক হয়ে যাওয়া যাদের অট্রালিকা বাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়েছেন তাদের আয়ের উৎস্য খতিয়ে দেখলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী বলেন, ইয়াবা মাদক যুব সমাজকে একেবারেই ধ্বংস করে ফেলেছে। উখিয়া ও টেকনাফে ইয়াবা মাদকে আসক্ত ছেলে তার বাবাকে হত্যা করেছে। ১৯৯৬ সালের পর থেকে উখিয়া-টেকনাফে ইয়াবা মাদকের বিস্তার ঘটে। এখন ইয়াবা মাদকের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। উখিয়া-টেকনাফ তথা পুরো কক্সবাজার জেলার মানুষ আতঙ্কে আছে। এখানে একটি উল্লেখযোগ্গ কথা, যদিও ইয়াবার ঘোরা বেশ কয়েক বৎসর যাবত বাংলাদেশকে দৌরে বেরাচ্ছে কিন্তু এদেশের আইন বিশেষজ্ঞরা আজ অবদি এই ইয়াবা নামক বিষয়টি বিশেষায়িত করতে পারেননি বলে আজ পর্যন্ত ইয়াবা নিয়ে চলছে কাষ্টরীয় কাষ্টরীয় খেলা অথচ এই ইয়াবা তার আপন তান্ডবে বাংলা দেশে সৃষ্টি করছে জেনারেশন গেপ৷ নিরবে সার্বভৌমত্ত হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ ৷ ইয়াবা নামক বিষয়টিকে পর্যালোচনা করে আমাদের পর্যালোকরা মতামত দিয়েছেন যে ইয়াবা শুধু নেশাই নয়, ইয়ারা একটি নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ ৷ ইয়াবা নামক মারাত্বক ধংসটি নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশ ছাড়ীয়ে বিশেষ করে মুসলমান দেশগুলিতে ছড়িয়ে যাচ্ছে ৷ বিষয় পৃথিবীর বড় মাথা ওয়ালা সবার মাথায় আছে ৷ সবাই দর্শকের মত না খেলেই গোল দেয়ার অপেক্ষায় আছে৷ আমাদের সাবধান হওয়া উচিত।