প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৫, ২:১৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২, ২০২৩, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
কক্সবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই সারা দেশে ইয়াবার আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব- অনুসন্ধানী প্রতিবেদন:
১ম পর্ব- কক্সবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই সারা দেশে ইয়াবার আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব- অনুসন্ধানী প্রতিবেদন:
মাহবুব আলমঃ মাদকদ্রব্য সম্পর্কিত সকল কার্যাবলীর জন্য বাংলাদেশে এটি নোডাল (Nodal) এজেন্সি হিসেবে কাজ করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন বোর্ডে সচিবালয় হিসেবে বোর্ড প্রণীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করা এই দপ্তরের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব। এটি ৫৫ টি মাঠ পর্যায়ের অফিসের সাহায্যে এর কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে, যা প্রধান কার্যালয় ঢাকা হতে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। কক্সবাজার উপ-অঞ্চল কক্সবাজার জেলায় মাদকদ্রব্য সম্পর্কিত সকল কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এর উপ-আঞ্চলিক কার্যালয় ও সদর সার্কেল অফিস অবস্থিত। রামুতে অপর একটি সার্কেল রয়েছে। এছাড়াও টেকনাফে একটি সার্কেল অফিস রয়েছে । বিভিন্ন গনমাধ্যম সূত্র থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে 'মাদক প্রবণ অঞ্চল' ঘোষণা করা হলে কী হতে পারে? বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহর ও কক্সবাজার জেলাকে ‘মাদক প্রবণ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে সরকারের উর্ধ্বতন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যদিও এরকম কোন পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিন্তু কীভাবে এসব এলাকায় মাদকের বিস্তার রোধ করা যায়, এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আলোচনা করছেন সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারকরা। বিভিন্ন সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তারাও বলছেন, দেশে মাদকের ‘প্রবেশদ্বার’ হিসাবে পরিচিত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আবার পর্যটন এলাকা হিসাবে খ্যাত কক্সবাজারকে এভাবে চিহ্নিত করা হলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে-সেই আশঙ্কাও রয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর বাংলাদেশের সরকার চট্টগ্রাম মহানগর ও কক্সবাজার জেলাকে ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘’আমাদের একটা মিটিংয়ে এরকম একটি বিষয় আলোচনায় উঠেছিল। কথা হয়েছে, কিন্তু আমরা কোন সিদ্ধান্ত বা সুপারিশ করিনি। এটা আসলে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের বিষয়।‘’
এটা ঠিক দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কিন্তু কোন এলাকাকে মাদক প্রবণ অঞ্চল ঘোষণা করা হলে সেই এলাকা নিয়ে একপ্রকার নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। ফলে এখানে অনেক কিছু বিবেচনার বিষয় আছে,’’ বলছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এই সংসদ সদস্য। তবে সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছে যে, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কারও যদি রাজনৈতিক পরিচয়ও থাকে, সেটা যেন অপরাধ দমনে কোন বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সে বিষয়ে কঠোর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গত ১৫ই জানুয়ারি এই কমিটির যে সভা হয়েছিল, এই দুটি এলাকাকে মাদকপ্রবণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার একটি কার্যক্রম তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালান রোধে সীমান্ত সুরক্ষা, স্যাটেলাইট ইমেজারি প্রযুক্তি স্থাপন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ও কক্সবাজার এলাকাকে মাদকপ্রবণ অঞ্চল ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদিও এখনো এরকম কোন ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশে ইয়াবা, আইসের মতো মাদকদ্রব্যে প্রবেশের প্রধান রুট হিসাবে বরাবরই মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া টেকনাফ ও কক্সবাজার এলাকাকে চিহ্নিত করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে গত পাঁচ বছরে শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলা থেকেই আট কোটির বেশি ইয়ারা উদ্ধার করা হয়েছে। গত দুই বছরে এই জেলা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার আইস উদ্ধার করা হয়েছে। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে আফিমের উৎপাদন নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। বাংলাদেশে এই দেশটি থেকে অনেক মাদক প্রবেশ করে বলে কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন। ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশের সরকার যে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল, সেখানে সবচেয়ে বেশি সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছিল কক্সবাজারে। এছাড়া বন্দর নগরী হওয়ার কারণে সমুদ্র পথে চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রচুর মাদক প্রবেশ করে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। এখান থেকে সারা দেশে এসব মাদকদ্রব্য ছড়িয়ে পড়ে।ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই দুই জেলায় বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চাইছেন কর্মকর্তারা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন্স ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’মাদকের বিরুদ্ধে সবসময়েই তো আমাদের অভিযান চলছে। যেসব জায়গায় মাদকচক্রের কর্মকাণ্ড বেশি, স্বাভাবিকভাবেই সেসব এলাকায় আমরা বেশি গুরুত্বর সঙ্গে নজরদারি এবং অভিযান চালাই।‘’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলছেন, ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ ঘোষণার ব্যাপারে তাদের কাছে এখনো কোন তথ্য নেই। তবে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর সপ্তম অধ্যায়ে এরকম অঞ্চল ঘোষণা করার সুযোগ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সরকার জনস্বার্থে মাদকের ভয়াবহতার বিষয় বিবেচনা করিয়ে দেশের যেকোনো অঞ্চলকে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য বিশেষ মাদকপ্রবণ অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে। সেখানে মাদকদ্রব্য অপরাধ প্রতিরোধের জন্য অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।‘কিন্তু কীভাবে সেটা করা হবে, কি কি নিয়মকানুন থাকবে, তার বিস্তারিত কিছু সেখানে বলা হয়নি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন্স ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলছেন, ‘’এর আগে বাংলাদেশে কখনো কোন এলাকাকে মাদকপ্রবণ অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা দেয়ার উদাহরণ নেই। ফলে এরকম কিছু করা হলে ঠিক কিভাবে কাজ করা হবে, সেটা নিয়ে আরও পর্যালোচনার বিষয় আছে।‘’ তবে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, সরকার যদি কোন এলাকাকে ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করে, তখন সেখানে কি ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেটাও নির্ধারণ করে দেয়া হবে। তার মধ্যে কয়েকটি এজেন্সিকে নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন, বিশেষ অভিযান চালানো, নজরদারি ও চেকপোস্ট বাড়ানো, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের মতো পদক্ষেপ থাকতে পারে। সম্প্রতি উখিয়া-টেকনাফে বাড়ছে মাদকের ব্যবহার কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে দিন দিন মাদকের ব্যবহার বাড়ছে।মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সেই অনুযায়ী মাদক নিয়ন্ত্রণে দেখাতে পারেনি তাদের বড় ধরনের অভিযান। উখিয়া থানা পুলিশের বর্তমান অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী কক্সবাজারে ডিবি পুলিশের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে একটি চৌকস টিম ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এ যাবত কালের সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান (১৪ লক্ষ পিস) উদ্ধার ও দুই জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেই সময়ে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার ফারুকের বাড়ি থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মতে, পুলিশের অভিযানে ইয়াবার বৃহৎ চালান আটকের ঘটনা এটি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নতুন নতুন মাদক আইস, এলএসডি, ক্রিষ্টাল মেথ ও ইয়াবা শনাক্ত ও উদ্ধার করা হলেও বেশিরভাগ সময়ই মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। উখিয়া-টেকনাফের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সড়ক পথের পাশাপাশি আকাশ পথ ও নৌপথ নিয়ন্ত্রণ করেন। বড় চালান আসে সাগর পথে। মিয়ানমার থেকে নদী পথে আসে ইয়াবা। ইয়াবা কারবারীদের সাথে বড় বড় নেতার যোগসাজশ থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটা এগুচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪টি সংস্থা মাদক পাচার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের তালিকা আপডেটের কাজ করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি মাসে মাদকের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ সদর দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সুস্পষ্টভাবে বলেন, কক্সবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সারা দেশের ইয়াবার আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দাংগরপাড়া এলাকার লেলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহ। মাছ ধরার কাজ করেন একই এলাকার মন্জুর মাঝির ট্রলারে। তাকেই মিয়ানমারে বন্ধক রেখে আনা হয় ৫ লাখ ইয়াবার একটি বড় চালান। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। সপ্তাহ পার হওয়ার পর টাকা পরিশোধ না করায় ওই যুবকের কপালে নেমে এসেছে ভয়াবহ নির্যাতন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, এক দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে খুন করারও হুমকি দেয়া হচ্ছে মিয়ানমারে আটক থাকা যুবককে। পরে জমি বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান ওই যুবক। শুধু এ ঘটনায় নয়, এ ধরনের ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে টেকনাফে। আইনশৃঙখলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে ইয়াবা পাচারে পেশাদার জেলেদের বেছে নেয়া হচ্ছে। উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা গফুর মিয়া চৌধুরী বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি কক্সবাজার উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এসব অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, খুন, নারী নির্যাতন ও ইয়াবা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয় ইয়াবা কারবারির হাত রয়েছে।
উখিয়ায় হঠাৎ বড় লোক হয়ে যাওয়া যাদের অট্রালিকা বাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়েছেন তাদের আয়ের উৎস্য খতিয়ে দেখলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী বলেন, ইয়াবা মাদক যুব সমাজকে একেবারেই ধ্বংস করে ফেলেছে। উখিয়া ও টেকনাফে ইয়াবা মাদকে আসক্ত ছেলে তার বাবাকে হত্যা করেছে। ১৯৯৬ সালের পর থেকে উখিয়া-টেকনাফে ইয়াবা মাদকের বিস্তার ঘটে। এখন ইয়াবা মাদকের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। উখিয়া-টেকনাফ তথা পুরো কক্সবাজার জেলার মানুষ আতঙ্কে আছে। এখানে একটি উল্লেখযোগ্গ কথা, যদিও ইয়াবার ঘোরা বেশ কয়েক বৎসর যাবত বাংলাদেশকে দৌরে বেরাচ্ছে কিন্তু এদেশের আইন বিশেষজ্ঞরা আজ অবদি এই ইয়াবা নামক বিষয়টি বিশেষায়িত করতে পারেননি বলে আজ পর্যন্ত ইয়াবা নিয়ে চলছে কাষ্টরীয় কাষ্টরীয় খেলা অথচ এই ইয়াবা তার আপন তান্ডবে বাংলা দেশে সৃষ্টি করছে জেনারেশন গেপ৷ নিরবে সার্বভৌমত্ত হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ ৷ ইয়াবা নামক বিষয়টিকে পর্যালোচনা করে আমাদের পর্যালোকরা মতামত দিয়েছেন যে ইয়াবা শুধু নেশাই নয়, ইয়ারা একটি নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ ৷ ইয়াবা নামক মারাত্বক ধংসটি নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশ ছাড়ীয়ে বিশেষ করে মুসলমান দেশগুলিতে ছড়িয়ে যাচ্ছে ৷ বিষয় পৃথিবীর বড় মাথা ওয়ালা সবার মাথায় আছে ৷ সবাই দর্শকের মত না খেলেই গোল দেয়ার অপেক্ষায় আছে৷ আমাদের সাবধান হওয়া উচিত।
Copyright © 2025 নগর সংবাদ. All rights reserved.