দুটি ম্যাচ দুটি জয়-সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন শুরুর আগে কম্বোডিয়ায় এই আত্মবিশ্বাসের জ্বালানিই পেলো বাংলাদেশ। আজ (বৃহস্পতিবার) নমপেনে স্বাগতিক কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে জিতেছে।
এর আগে গত ১২ জুন বাংলাদেশ একই ব্যবধানে হারিয়েছিল স্থানীয় ক্লাব টিফি আর্মি এফসিকে।
বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেছিলেন, তিনি কম্বোডিয়া থেকে জয়ের জ্বালানি নিয়ে বেঙ্গালুরু যেতে চান। সেটা পেরেছেন। তবে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেও সমর্থকদের মন জিততে পারেনি। গ্যালারিতে থাকা হাজার তিরিশেক দর্শক বরং কম্বোডিয়ার খেলা দেখেই বেশি আনন্দ পেয়েছে।
২৪ মিনিটে মজিবর রহমান জনির গোলটি ছাড়া বাংলাদেশের তেমন কিছু উল্লেখ করার ছিল না। স্বাগতিক গোলরক্ষককে আর কোনো পরীক্ষায়ও ফেলতে পারেননি সুমন রেজা-ফাহিমরা।
প্রথমার্ধে করা গোলটি ধরে রেখে বাংলাদেশ কেবল জয়টিই পেয়েছে। তবে এই খেলা খেলে সাফে কিছু করতে পারবে কিনা সে সন্দেহ রয়েই গেলো দর্শকদের মনে।
বাংলাদেশ একটি সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছে। অন্যদিকে গোটা তিনেক সযোগ পেয়েও পরাজিত দলটির নাম কম্বোডিয়া।
৪১ মিনিটে চানপলিনের শট ঠেকিয়েছেন গোলরক্ষক জিকো। ৬৮ মিনিটে বদলি লিম পিসথের হেড চলে যায় বাইরে। নাহলে বাংলাদেশকে পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো।
শুরুতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল কম্বোডিয়া। প্রথম ৩ মিনিটের মধ্যে বক্সের মাথায় একটি ফ্রিকিক ও দুটি কর্নার আদায় করে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। এর মধ্যে দ্বিতীয় কর্নার থেকে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল কম্বোডিয়া। সকুমফেকের শট দ্বিতীয় পোস্ট ঘেঁষে বাইরে না গেলে শুরুতেই গোল খেয়ে বসতো বাংলাদেশ।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই। ২৪ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ গোল করে এগিয়ে যায় প্রতি আক্রমণ থেকে। ব্র্যাক থিবার শট ফিরে আসে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে।
ওই বলটিই কম্বোডিয়ার সীমানায় ডান দিকে পেয়ে যান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তিনি লম্বা যে ক্রস নেন গোলমুখে, সেই চলন্ত বলে পা লাগিয়ে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে জালে ঠেলে দেন মজিবুর রহমান জনি।
জয়ের ম্যাচেও বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ হলো তারিক কাজির লালকার্ড। শেষ দিকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফিনল্যান্ড প্রবাসী এই ডিফেন্ডার। বাংলাদেশ আগামীকাল (শুক্রবার) বিকেলে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়া ত্যাগ করবে।
কম্বোডিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশ
আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), কাজী তারিক রায়হান, বিশ্বনাথ ঘোষ, আলমগীর মোল্লা, মেহেদি হাসান, সোহেল রানা-১, মজিবুর রহমান জনি (ইব্রাহিম), সোহেল রানা-২, জামাল ভূঁইয়া (মোরসালিন), সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।