তারা সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। আজ রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বিকেলে মহালয়া উপলক্ষে একটি ধর্মসভায় যোগ দিতে উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন তারা।
এই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- দীপংকর (৩), প্রিয়ন্ত (২.৫), শ্রেয়সী (৩), তনুশ্রী (৫), প্রিয়ন্তী (৫), উশশী (৩), শ্যামলী (১৪), লক্ষী রানী (২৫), শোভা রানী (২৭), খুকি রানি (৩৫), প্রমিলা রানি (৫৫), তারা রানি (২০), শোনেকা রানী (৬০), ফাল্গুনি রানি (৫৫), প্রমিলা (৭০), ধনোবালা (৪৭), সুমিত্রা রানী (৫৭), সফলতা রানী (৪০), শ্যামলী বালা (৩৬), অমল চন্দ্র (৩৫), বিলাস চন্দ্র (৫০), হাসান আলী (৭০) মাঝি-ইজারাদার। এছাড়া বাকি মরদেহগুলো তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। বোদা, পঞ্চগড় ও আটোয়ারী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট নৌকা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। জীবিত উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ২০ জন বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় কেউ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা যায়নি।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহালয়া উপলক্ষে পাঁচপীর, বোদা, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এসব এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। এ কারণে মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর যাত্রীর চাপে নৌকা ডুবে যায়। এ সময় কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশির ভাগ যাত্রীই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এ বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোলেমান আলী জানান, ডুবে যাওয়া নৌকাতে ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো যাত্রী ছিল। শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঘাট থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়। মরদেহ শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে।
নিহতদের মধ্যে ২৩ জনই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। একজন মুসলিম। নিহতদের ১২ জন নারী, চারজন পুরুষ ও আটজন শিশু। নিহতরা বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে ধারণা করা হচ্ছে।