নগর সংবাদ।।করোনা টিকা- শরীরে খালি সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগ টাঙ্গাইলের পর এবার পাবনায়
এবার মেডিকেল শিক্ষার্থীর শরীরে খালি সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগ টাঙ্গাইলের পর এবার পাবনায় করোনা টিকা না দিয়ে শরীরে খালি সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী। তবে এ ঘটনায় প্রতিবাদ করার পর তিনি টিকা পেয়েছেন। বুধবার (৪ আগস্ট) পাবনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পাবনার বাসিন্দা এবং ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী সাবা মারিয়াম অন্তিকা। অন্তিকার বাবা আব্দুল হান্নান এ ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ী ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, পাবনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম বুধবার সকালে শুরু হয়। কার্যক্রম চলে জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে। এতে ২৭৫ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন, তার মেয়ের বেলায় টিকার ডোজ ছাড়াই সিরিঞ্জ পুশের ঘটনা ঘটেছে। তার মেয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল স্টুডেন্ট কোটায় করোনার টিকা নিতে যান। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নার্স তাকে খালি সিরিঞ্জ শরীরে পুশ করেন। এতে তার শরীরে রক্তও বের হয়। এ সময় অন্তিকা ভ্যাকসিন না দিয়ে খালি সিরিঞ্জ পুশ করার প্রতিবাদ করেন। এরপর কর্তব্যরত নার্স ভুল স্বীকার করেন এবং পরে তাকে টিকার ডোজ পুশ করেন। আব্দুল হান্নান বুধবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় বলেন, একজন মেডিকেল স্টুডেন্টের বেলায় যদি এ ঘটনা ঘটে তবে গ্রামের সাধারণ মানুষের বেলায় কী হবে? তিনি অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তারা এসব টিকা পরে কালোবাজারে বিক্রি করবে বলে আমার ধারণা। তিনি আরও বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এটা। প্রয়োজনে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেবেন বা আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান তিনি। জানতে চাইলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকালে বলেন, ওই মেডিকেল ছাত্রীর বাবা আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন- তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন। সে অভিযোগ থেকে আমরা জানতে পারব কোন বুথ থেকে টিকাটি দেয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এখানে মোট আটটি বুথ থেকে টিকা দেয়া হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা বুঝতে পারবো ওই বুথে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কর্মী তখন দায়িত্বরত ছিলেন। তখন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীকে চিহ্নিত করে তার বক্তব্য নিতে পারবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বার্তা বলেন, এ বিষয়ে দ্রুতই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে করোনার টিকা ছাড়াই সুই পুশের অভিযোগ ওঠে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে। গত রোববার (১ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এরপর প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে