কলকাতায়,,সুর ও সাধনার.. বিজয়া সম্মেলনী ও আলাপ- চারিতা এবং গানের অ্যালবামের শুভ সূচনা হলো।
শম্পা দাস,সম্পাদক,নগর টিভি,দৈনিক নগরসংবাদ,নগরসংবাদ ২৪ডটকম,,কলকাতা ব্যুরো””
২৩ শে নভেম্বর শনিবার, ঠিক বিকেল চারটেয়, মহাজাতি সদনের অডিটোরিয়ামের এনেক্স হলে , সুর ও সাধনা আয়োজিত, কিংশুক রায় পরিচালিত, বিজয়া সম্মিলনী ও আলাপ- চরিতা এবং একটি গানের অ্যালবামের শুভ সূচনা করলেন।, আলোয় ফেরা। একটি সুন্দর সমবেত সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন , বাচিক শিল্পী ও কবি বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, রাগা মিউজিকের প্রেম কুমার গুপ্তা, মহাজাতি সদন এর সেক্রেটারী নুরুল হুদা , সুর ও সাধনার প্রতিষ্ঠাতা গৌরাঙ্গ বিহারী রায়, ডাবলু বি এ এস জয়েন সেক্রেটারি কুনাল কান্তি ঝা, সুর ও সাধনার পরিচালক ও শিল্পী কিংশুক রায়, সহযোগী রত্না রায়, এবং আজকের রবীন্দ্র সংগীত অ্যালবামের শিল্পী ও ডক্টর জয়ন্ত ধর সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে যে সকল শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেছেন তাহাদের মধ্যে ছিলেন, ডক্টর তানিয়া দাস , সুনন্দা ঘোষ ,বিপাশা বাসু, রত্না রায়, রাজশ্রী মৈত্র, তিয়াসা দাস, সৌমিত্র ঘোষ, সুস্মিতা বিশ্বাস, সুতপা চক্রবর্তী, শুভ্র জ্যোতি রায়, সুপর্না দত্ত চৌধুরী, উৎসব দাস, সঙ্গীতা ভট্টাচার্য, দীপঙ্কর পাত্র সহ অন্যান্য সংগীত শিল্পীরা। কবিতায় নীলাঞ্জনা সিন্ধিয়া, কাজল সুর ,রজত মৈত্র, উষশ্রী সেনগুপ্ত ,অন্বেষা রায়, অনামিকা ব্যানার্জি ,মৌসুমী মজুমদার, পার্থসারথী মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য কবিরা। অনুষ্ঠান পরিচালনায় মৌ গুহ, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের যে সকল অতিথীরা উপস্থিত ছিলেন, তাহাদের উত্তরীয় পরিয়ে এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান এক এক করে। এরপর ডক্টর ও শিল্পী জয়ন্ত ধর এর রবীন্দ্র সংগীতের অ্যালবাম , ...আলোয় ফেরা.... সিডির শুভ সূচনা করেন বাচিক শিল্পী বিজয়লক্ষ্মী বর্মনের হাত দিয়ে এবং মঞ্চে সবার উপস্থিতিতে।
সুন্দর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবং শিল্পীদের গানে কবিতায় ভরে উঠেছিল মঞ্চ, শুধু তাই নয় অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী এবং সুর ও সাধনার উদ্যোক্তা কিংশুক রায় বলেন, আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন শিল্পীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা, সবাইকে একসাথে নিয়ে পথ চলা, সুর ও সাধনা সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিল্পীদের এগিয়ে চলার পথ দেখায় যেমন , তেমনি থ্যালাসেমিয়া শিশুদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। সামান্য কিছু খরচা করে বাকী অর্থ তুলে দেওয়া হয় ক্যান্সার ও থ্যালাসিমিয়া রোগীদের সাহায্যার্থে, দেখতে দেখতে আমরা কুড়ি তম বর্ষে পদার্পণ করলাম।
আমরা চেষ্টা করি সুর ও সাধনার মধ্য দিয়ে নতুন শিল্পী কে তৈরি করে এইভাবে মঞ্চে পরিবেশন করার সুযোগ করে দেওয়া। আজ আমি ধন্য , বহু নতুন শিল্পী কে আমি তৈরি করতে পেরেছি, তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাতে পেরেছি, ধন্যবাদ জানাবো সুর ও সাধনার সকল সদস্যদের, যারা আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং আমার পাশে থাকার চেষ্টা করেন। ধন্যবাদ জানাবো মিউজিসিয়ান বন্ধুদের , যাহারা প্রতিমুহূর্তে আমার পাশে থাকার চেষ্টা করেন, ধন্যবাদ জানাবো যে সকল শিল্পী ও কবিরা দর্শক আসনে বসে আমাদের অনুষ্ঠানটি আলোকিত করেছেন।