৩১ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা সাতটায়, পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ ও দুস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে শ্যামা মায়ের পুজোর শুভ সূচনা হয়। পৌরপিতা তপন চক্রবর্তী উপস্থিতিতে। উপস্থিত ছিলেন পৌরপিতা তপন চক্রবর্তী , শ্যামলী রায় চৌধুরী, অসীম পাল, দে বাড়ীর কর্ণধার চন্দ্র শেখর দে, রুপালী দে, শুভ্র দে, কবিতা সাউ, শান্তনু চক্রবর্তী, মৃণাল কান্তি দত্ত, প্রভাত দে, নিতাই দেবনাথ, এবং ওয়াল আয়ুর ফার্মাসিটিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার তাপস দাস, ভাস্কর গুহ ,রণবীর ভৌমিক সহ এলাকার মহিলা সদস্যগণ ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
দে বাড়ীর পূজো মানেই এলাকাবাসীর কাছে একটা আলাদা উৎসব ও মেলবন্ধন, এই দিনটিতে সকলকে এক করা, একদিকে যেমন আচার রীতি মেনে পুজোর আয়োজন, সন্ধ্যা থেকে পুরোহিতের ও পরিবারের ব্যস্ততা, অন্যদিকে দুস্থ মানুষের পাশে হাত বাড়িয়ে দেওয়া, শীত বস্ত্র বিতরণ থেকে শুরু করে আমন্ত্রিত অতিথিদের ভোগ বিতরণ, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন দুস্থ মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করলেন এবং হাজারেরও বেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের পোলাও আলুর দম সহ ভোগ বিতরণ করলেন, সন্ধ্যা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা ভীর জমাতে থাকে এই দে বাড়ীতে। দূর দূরান্ত থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে উপস্থিত হন। এবং মাকে মিষ্টি ফুল দক্ষিণা দিয়ে পুজো দেন। আর প্রতিবছরই এই দে বাড়ীর পূজোতে ,সাধারণ মানুষের জন্য কিছু বার্তা নিয়ে আসেন, নতুন কিছু করার। তাই এই বছরও দুটি নতুন বার্তা দিলেন, চন্দ্র শেখর দে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের কর্ণধার, যিনি সারা বছর মানুষের সেবায় নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেন, মানুষের পাশে দাঁড়ান, দুস্থ ছেলে মেয়েদের বিনা পয়সায় পড়ার সুযোগ করে দেন, এমনকি নিজস্ব স্কুলে দুস্থ ছেলে মেয়েদের বিনা পয়সায় বই খাতা জামা এমনকি পড়ার ব্যবস্থা করেন। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান, সারা ভারতবর্ষ জুড়ে তিনি সেবার কাজ করে চলেছেন।
আজও পূজোর সূচনায়, দুটি নতুন প্রকল্প মানুষের কাছে তুলে ধরলেন ,সকল অতিথিদের উপস্থিতে । ওয়াল আয়ুর ফার্মাসিটিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে যৌথ উদ্যোগে, সামান্য পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা ও ওষুধ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, আরেকটি সলমন খান ফাউন্ডেশন এর সাথে যৌথ প্রয়াসে বিনা পয়সায় ক্যান্সারের প্রতিকার ও সেবা, কোনরকম পয়সা ছাড়া, এর সাথে সাথে যে সকল দুস্থ মানুষ চিকিৎসা করাতে পারবে না তাদের জন্যও একটি হেলথ কার্ডের সুবিধে রেখেছেন। যেখানে এই কার্ডের মধ্য দিয়ে সুযোগ সুবিধা পাবেন। তবে ওয়াল আয়ুর ফার্মাসিস্টিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার তাপস দাস বলেন, আমরা সমস্ত রকমের রোগেরই চিকিৎসা পরিষেবা ও দেবো , তবে আগামী দিনে আরো কিছু পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রাখেছি। সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে সংস্থার কর্ণধার ও পরিবারের কর্ণধার চন্দ্র শেখর দে একটা কথাই বলেন , আমি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই ,তাদের সেবা করতে চাই।
আজকের এই পুজোয় যে সকল অতিথিরা উপস্থিত হয়েছেন তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।, সকলের সহযোগিতা ছাড়া কখনই কোন কাজ সম্ভব নয়, আমি যা কিছু করি সকলের সহযোগিতা পায় বলেই করে থাকি।
এবং আমার পাশেই আমার পরিবারের মানুষজন আছে বলেই। তাই সকলকে শুভ দীপাবলি র প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। আজকের দিনটি হয়ে উঠুক আলোময়। আর এই সেবামূলক কাজের জন্য এবং সকলকে নিয়ে পথ চলার জন্য, দৈনিক দুরন্ত বাংলার নিউজ এর পরিচালনায়, দুই বাংলার শক্তি সম্মান ২০২৪ পেলেন, বেলঘড়িয়া ওলাইচন্ডীতলা দে বাড়ীর পুজো ।