ডক্টর লক্ষণ চন্দ্র শেঠ এর ৭৪ তম জন্মদিনে, চুয়াত্তর কিলোগ্রাম কেক কেটে জন্ম দিবস পালন করলেন.।
রিপোর্টার... কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়
আজ ১১ই এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর দুটো থেকে শুরু হয়, এই জন্মদিনের আয়োজন ,হলদিয়া টেকনোলজি কলেজের মাঠে, অগণিত ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হন এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এছাড়া স্কুলের দিদিমণি,
শিক্ষক মহাশয় ও কলেজের অধ্যাপকেরা হাজির হন , তার সাথে সাথে বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও মঞ্চের সামনে অতিধান।, মাননীয় লক্ষণ শেঠ মহাশয় একসময় যিনি ছিলেন ইউনিয়ন লিডার, বিধায়ক ও সাংসদ, যিনি সব সময় এলাকার মানুষের কথা ভাবেন এলাকার উন্নয়নের কথা ভাবেন এবং এলাকায় শিল্প নগরী গড়ার কথা ভাবেন আজ তারই জন্মদিনে সবাই উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, বিখ্যাত সাঁতারু বুলা চৌধুরী, জিআই সে কর্ণধার অরিন্দিত সিং ও তার ছেলে দীপ সিং হাইকোর্টের প্রাক্তন জাস্টিস তোফিক উদ্দিন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন সঞ্জীব চক্রবর্তী কবি শ্যামল কান্তি দাস কবিচিত্রা লাহিড়ী অ্যাডভাইজার সুভাষ রায় সঞ্জীব ব্যানার্জি সহ অন্যান্যরা,
আই কেয়ার এর উদ্যোগে আজকের অনুষ্ঠানটি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে, মঞ্চে ওঠার আগে মাননীয় প্রাক্তন বিধায়ক সাংসদ লক্ষণ শেঠ মহাশয়কে বাদ্যের তালে তালে আহ্বান জানান, একে একে সকল অতিথিদের যেমন বরণ করে নেয়া হয় তেমনি মাননীয় লক্ষণ শেঠ মহাশয় কে নাতির হাত ধরে পায়ে স খাইয়ে জন্মদিন পালন করেন এবং একটি কেক কেটে, একে একে সকল বন্ধু ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং একসাথে পথচলা কলি গ সবাই মাননীয় লক্ষণ সেন মহাশয় কে সম্বর্ধনা দেন খুলে তোরা ও বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে। শুধু তাই নয় একটি বড় গোলাপ ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন, এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে যারা ভালো রেজাল্ট করেছেন তিনি তাদের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক ফুলের তোড়া ও ট্রফি দিয়ে সম্মান জানান এবং বলেন আমার কোন মেয়ে নেই , এই তিনজন মেয়ে আমার নিজের হবে আমি এদের সমস্ত দায়ভার নেব।, এত তীব্র গরমের মধ্যেও যেভাবে লক্ষণ শেঠ মহাশয় এর জন্মদিন কে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার সহযোগিতা করলেন ,চির কৃতজ্ঞ, সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে মাননীয় লক্ষণ শেঠ মহাশয় জানান আমার অনেক কিছুই ইচ্ছা ছিল হলদিয়ার বুকে করার এমনকি শিল্পনগরই কিন্তু আমাকে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়, আমি এ আশা পূরণ করতে পারিনি তবে আমি চেষ্টা করব হলদিয়ায় শিল্প নগরী গড়ে তোলার, এছাড়া আমি একটি সাংস্কৃতিকআমি একটি সাংস্কৃতিক চিন্তাভাবনাও নিয়েছি, যার মাধ্যমে বহু ছেলে মেয়ে সেখানে শিখতে পারবে, সবার মনে রাখা দরকার শিল্প নগরী না থাকলে কোনদিন সেই জায়গার উন্নতি হবে না, একদিন আমি যখন পড়াশোনা করতে পারিনি, তখন আমাকে রাস্তা থেকে তুলে সহযোগিতার হাত কুড়িয়ে পড়াশোনার আলো দেখিয়েছেন, এবং আমার খরচ বহন করেছিল, তেমনি আমিও চাই,
এই একই ভাবে এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করুক, ভালো রেজাল্ট করুক আমি তাদের সম্মান দেব ক একই ভাবে।, আজ প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মতো ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং কর্মীরা হাজির হন, বিভিন্ন কলেজ ও স্কুল থেকে, জন্মদিনের অনুষ্ঠান আসেন, শেষে একটি সুন্দর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং বলেন এটাও একটা আনন্দের দিক, এবং শিল্পীদের উৎসাহিত করা ,তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে চলার পথ দেখানো, একমাত্র পারে এইরকম ভাবে সকল সদস্য ছাত্রছাত্রীরা, তবে যেভাবে আমাকে সম্মান জানালো আমি সবার কাছে চির কৃতজ্ঞ।, ডক্টর লক্ষণ চন্দ্র শেঠ মহাশয় আজকের এই অনুষ্ঠান ও নিজের জন্মদিন উপলক্ষে বেশ কয়েকটি কাজের ঘোষণা করেন যেগুলি তিনি খুব শিগ্রই শেষ করবেন আশা রাখছেন।.....।