18ই সেপ্টেম্বর, সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয় এই কর্মযজ্ঞ, রুদ্র গরম ও বৃষ্টি কোন কিছুই বাধা মানে নি প্রতিযোগীদের ,ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতে এবং গ্রিনিজ বুকে নাম তুলতে ,মহিলা পরিচালিত এই ৭৭৭ দুর্গা বিভিন্ন রূপে তুলে ধরলেন তাদের ,দুর্গার বিভিন্ন রূপ , ঝড়-বৃষ্টি কে পেছনে ফেলে ছোট ছোট শিশুরাও এতে অংশগ্রহণ করেন। দূর দূরান্ত থেকে এসে, আজকের প্রতিযোগিতায় এবং তারাও সবার সামনে দেখিয়ে দিলেন যে কোন অংশে আমরা কম নয়। আজকের পরিকল্পনার যিনি কর্ণধার জয়ন্ত দাশগুপ্ত বলেন, আজ আমরা খুশি আমাদের পরিকল্পনা ছিল ৭৭৭ দুর্গা, কিন্তু আমরা সেই ব্যারিকেট অতিক্রম করে ৮৬০ দুর্গার রূপ দিতে পেরেছি। এটা আমাদের কাছে গর্ব।
আর আমার কাছে গর্ব সবার সহযোগিতা না থাকলে কখনোই এটা সম্ভব করতে পারতাম না, তাই আমি আমাদের সকল গ্রুপের ছেলে মেয়েদেরকে ধন্যবাদ জানাই তারা আমাকে এতটা পথ এগিয়ে দেওয়ার জন্য , ধন্যবাদ জানাই অংশগ্রহণকারী সকল ফটোগ্রাফী ও দেবী দুর্গা গ্রুপে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, ধন্যবাদ জানাই প্রশাসনিক বিভাগকে, ধন্যবাদ জানায় যিনি আমাদেরকে এই জায়গাটা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, এরপর দুপুর আড়াইটা নাগাদ সমস্ত দুর্গা দের নিয়ে একটি বিশাল র
্যালি প্রিন্সেপ ঘাট থেকে শুরু করে বাবুঘাট হয়ে ইস্টবেঙ্গল মাঠের মধ্যে প্রবেশ করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর ,পুনরায় সমস্ত প্রতিযোগী প্রিন্সেপ ঘাট এসে জমায়েত হন এবং তাদের হাতে সার্টিফিকেট ও মোমেন্টো তুলে দেন। এই প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও মতুয়া মাতা সুমিতা পোদ্দার গুপ্তা মহাশয়া, উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মেকআপ আর্টিস্ট উজ্জ্বল দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন সুরকার মোল্লার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি মল্লিকা ঘোষ। সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সংস্থার তরফ থেকে তাদের একে একে বরণ করে নেন এবং তাদের হাতে মূল্যবান মোমেন্ট ও তুলে দেন ও এই সকল অতিথিদের হাত দিয়ে সকল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সর্বশেষ একটি কথাই জয়ন্ত বাবু জানান আমি হয়তো কাউকে কাজ দিতে পারব না কিন্তু তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখানোই আমার কর্তব্য, তাই আমি চেষ্টা করি নতুন কিছু করে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নতুন কিছু করে দর্শকদের উপহার দেওয়া এবং সেই স্বপ্ন হয়তো একদিন বাস্তবায়িত হবে।