৫৬তম গার্মেন্ট ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মিট এবং বি2বি এক্সপো ২০২৪ এর শুভ সূচনা হলো ,
”শম্পা দাস,সম্পাদক,নগর টিভি,দৈনিক নগরসংবাদ,নগরসংবাদ ২৪ডটকম,,কলকাতা ব্যুরো””
বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে। আজ ১লা জুলাই সোমবার, ঠিক সকাল ১১ টায়, কলকাতার বিশ্ব বাংলা ( মিলন মেলা) প্রাঙ্গণে, ওয়েস্ট বেঙ্গল গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স আ্যন্ড ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ৫৬ তম গার্মেন্ট ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মিট এবং বি টু বি, ২০২৪ এর শুভ সূচনা হলো, এই মেলা চলবেও ১লা, ২রা ৩রা জুলাই পর্যন্ত। এই মেলায় ৯০০ টি জাতীয় আন্তর্জাতিক ব্যান্ড, মিট বি টু বি এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়, এবং পাইকারি বাজারে আনুমানিক ৮৫০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার বাণিজ্যিক লেনদেন হবে বলে আশা করেন। এই মেলার শুভ সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী শ্রীমতী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই মেলার শুভ সূচনা হয়,
তার সাথে সাথে একটি সুবিনিয়ার এরও শুভ সূচনা করেন। ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের মধ্যে, শ্রী প্রদীপ কুমার নন্দী, শ্রী নির্মল জৈন, শ্রী বিরাম প্রকাশ সুলতানিয়া, শ্রী মনোজ গুপ্ত, শ্রী বিনয় ডুবে, শ্রী রামচন্দ্র আগরওয়াল, এছাড়াও ডব্লিউ বিজি এমডিএ র সভাপতি শ্রী হরি কৃষ্ণান রাঠী, শ্রী বিজয় কারিওয়ালা,
ডব্লিউ বি জি এমডিএ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবেন্দ্র বৈদ্য, ডব্লিউ বি জি এমডিএ র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রী প্রদীপ মুরারকা সহ অন্যান্যরা শুভ সূচনার পর সম্মানীয় অতিথিদের উত্তরীয় পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন। এবং মাননীয় দমকল মন্ত্রী সুজিত বোসের হাতে একটি স্মারক তুলে দেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বলেন, এই ইভেন্টটি রাজ্যের অর্থনৈতিক এর জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে এবং একটি পোশাকের মেলা পরিচালনা করেছে, যাতে দেশে গ্লোবাল টেক্সটাইল সাপ্লাই চেইন একটি শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে ,পাশাপাশি গুরুত্ব আরোপ করেছে, একটি আধুনিক গতিশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক পোশাক খাতের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা জন্য। যা মূলত এম এস এম ই দ্বারা গঠিত। এই ইভেন্টের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
এছাড়াও মাননীয় মন্ত্রীরা বলেন আমরা আনন্দিত যে এইরকম একটি মেলার আয়োজন করেছেন, যেখানে ৩৫০ থেকে ৪০০ ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করতে পেরেছে এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই, যিনি এরকম একটি জায়গা তৈরি করে দিয়েছেন, না হলে কোনদিন এই ধরনের মেলা বা প্রদর্শনী জায়গা করা সম্ভব হতো না। আমরা চাইবো আরো উৎসাহী ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করুক। এবং বাংলায় সুন্দর সুন্দর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক,।
বাংলার মানুষ কর্মসংস্থান দূর করুক। ওয়েস্ট বেঙ্গল গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন এর মাননীয় সচিব শ্রী দেবেন্দ্র বৈদ্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং বলেন, আমাদের অ্যাসোসিশনের ক্রেতা ও বিক্রেতা মিটিং পাঁচ দশক ধরে দেশের পূর্বাঞ্চলে ব্যবসা করার ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করেছে। এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস এন্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রী হরি কৃষ্ণা রাখিবো বলেছেন।
আমরা আমাদের পূর্ব সূরীদের কাছ থেকে বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সমর্থন পেয়েছি এবং আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরও টেকসই পরিবেশ তৈরি করার আশা করি আমাদের সাধারণ প্রস্তুতকারক এবং পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে আমাদের এই সময় খুচরো বিক্রেতারাও অংশগ্রহণ করেছে। ডাবলু বিজিএমডিএ সম্পর্কে ওয়েস্ট বেঙ্গল গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস এন্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন হল ,পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন যা তৈরি পোশাক শিল্প এবং বাণিজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, সমিতিটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
সমিতিটি ভারত চেম্বার অফ কমার্সের অধীনে অনুমোদিত ,অ্যাসোসিয়েশনটি একটি কোর কমিটি ও গঠন করে, কমিটির সদস্য এবং কো অপ্ট করা সদস্যদের দ্বারা গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়। প্রায় ৫৬০ জনেরও বেশি সদস্য সংখ্যা, দলটি বছরে দুবার গার্মেন্টস ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মিটের আয়োজন করে। সেমিনার করে, রক্তদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করে।। পশ্চিমবঙ্গ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন এর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্যরা হলেন, শ্রী প্রেম কুমার সিংহল কোষাধক্ষ্য , শ্রী কানহাইয়ালাল লাখোটিয়া, শ্রী অমরচাঁদ জৈন, শ্রী তরুণ কুমার ঝাঝারিয়া, শ্রী রাজীব কেদিয়া ,শ্রী সন্দীপ রাজা, শ্রী অজয় সুলতানিয়া, শ্রী সৌরভ চন্দক,শ্রী বিক্রম সিং বৈদ। শ্রী সজ্জন শর্মা, শ্রী অনিল সোমানি, শ্রী ভুবন অরোরা শ্রী হরিপ্রসাদ শর্মা সহ অন্যান্যরা। আজ এই মেলার শুভ সূচনায় মাননীয় মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মনোময় হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ এবং অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই উপস্থিত থাকার জন্য। এবং সকল ব্যবসায়ীদের কে জানাই শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।