আজ একুশে নভেম্বর মঙ্গলবার, ব্যারাকপুরের , নবাবগঞ্জ মারিক পাড়ার,, ডক্টর ব্রহ্মানন্দ আকাশ পরিবারের পুজো, পুরানো রীতি মেনে আড়াইশো বছর ধরে চলে আসছে জগদ্ধাত্রী পূজা আজও,,, চলছে একই নিয়ম ও একই রীতিনীতি,। কিন্তু গিয়ে শোনা গেল যিনি এই পুজো চালিয়ে আসছেন, তিনি বললেন এই পুজো আড়াইশো বছরেরও বেশি দিন ধরে চলে আসছে,,
, এবং সম্পূর্ণ আগেকার রীতি মেনে এই পুজো শুরু হয়, যাহা অন্য কোথাও হয় না। আমরা এই জগদ্ধাত্রী পুজোকে দূর্গারুপে পূজা করে থাকি এবং দুর্গ পুজোর রীতিনীতি মেনে, , এই পূজাতে বিভিন্ন দেবতা বিরাজ করে তাদের মধ্যে বিলল বাঘিনী 64 যোগিনী ও নব দুর্গা রুপে পুজো করে থাকি, ,
এবং আমাদের জগদ্ধাত্রীতে বিশেষ একটি রূপ দেখে থাকবেন, হাতিটি অসুর আকৃতি তার হাতে অস্ত্র থাকে, যা কারো থাকে না,, পিতৃপুরুষেরা যেভাবে জগধাত্রী তৈরি করে পূজিত করতেন,,
আমিও দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে একই নিয়ম মেনে প্রতিমা আনছি। আর আমাদের পুজোয় বিশেষ কয়েকটি উপকরণ লাগে,,,, যেমন 64 মুটি চাল,, ৬৪ টি কয়েন,, ৬৪ টি সুপারি,, ৬৪ রকম পতাকা,, ৬৪ টা পান।
আর আমাদের পুজোর হোমে লাগে ৫০ থেকে ৬০ কেজি কাঠ ১০ থেকে ১৫ কেজি ঘি এছাড়া অন্যান্য সামগ্রী, এবং আমাদের প্রতিদিনের ভোগ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে,, যেমন আজ নবমীতে আমাদের যে ভোগ হয়েছে ,,দশমীতে মাকে বিদায় জানানোর ভোগ সম্পন্ন আলাদা আগামীকাল মাকে বিদায় জানানোর আগে মাকে ভোগ রান্না করে দেয়া হয়,, পান্তা ভাত,, কচু শাক ,,ইলিশ মাছ।,, ভাজা ,,লেবু বুরিভাজা ও অন্যান্য সামগ্রী,, সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে, দুই উদ্যোক্তা ভাগ্যশ্রী ও আকাশ ব্রম্ভনন্দজী বলেন,, , যে কোন পুজো একার পক্ষে সম্ভব নয়,, সকলকে নিয়ে চলার চেষ্টা করি এবং এলাকার সকল মানুষেরা আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করেন আমি কৃতজ্ঞ। সকলের আশীর্বাদ নিয়ে এই পুজো এগিয়ে চলেছে,, এবং একটি কথাই বলবো,, আমরা যেভাবে পূজাকে ধরে রেখেছি ,আমাদের প্রজন্মও যেন একই ভাবে এই পুজোকে ধরে রাখতে পারে ,,কোন রকম বিভেদ সৃষ্টি না হয়।।