আজ ১৭ ই সেপ্টেম্বর রবিবার, রাত পোহালেই মেতে উঠবে বিভিন্ন কল কারখানা থেকে শুরু করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশ্বকর্মা পুজোয় , আর তারি তোর জোর ও কেনাকাটায় বাজারে বাজারে, কিন্তু ক্রেতারা বাজারে গিয়ে মাথায় হাত দিলেন ,কারণ যেমন প্রতিমার দাম, তেমনি ফল ও ফুলের দাম, কোন কিছুই কম না, বাজেট করে গেলেও বাজারে গিয়ে মুশকিলে পড়ছেন,
যেমন ফুলের দাম প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে ,তেমনি বিভিন্ন ফলের, আর তার সাথে সাথে প্রতিমা তো আছেই। এক ক্রেতা জানালেন, প্রতিবারই বাজারে এসে যখন জিনিস কিনতে যাই দেখি লাগাম ছাড়া দাম, যে প্রতিমা আগের বছর নিয়ে যাচ্ছি ২২০০ টাকায়, সেই প্রতিমা এবারে নীতি এসে দেখি ৭ থেকে ৮০০ টাকা বেড়ে গেছে বিক্রেতারা কমাচ্ছেন না দাম,
তেমনি ফুলের দোকানে গিয়ে গাঁদা ফুলের মালা কিনতে গিয়ে একই অবস্থা হল একটা মালা ৪০ টাকা দাম।, ফল ১০০ টাকা থেকে দেড়শ টাকা কেজি, বললেন বুঝতেই পারছেন আমরা যে বাজেট করে এসেছি তার থেকে অনেক বেশি বাজেট দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের করার নাই কারণ বিশ্বকর্মা কে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে,।
তেমনি আরেক গ্যারেজের কর্মচারী জানালেন, কি আর বলব ,প্রতিমা কিনতে এসে অসুবিধায় পড়ে গেলাম ,কারণ যে প্রতিমা আগের বৎসর পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি, সেই প্রতিমা সাড়ে ছয় হাজার টাকার নিচে দিতে চাইছেন না, বিক্রেতারা বললেন আমাদের কিছু করার নেই। দেখতেই তো পারছেন জিনিসের দাম কিভাবে বেড়েছে ,
লেবারের দাম কিভাবে বেড়েছে, তবুও তারা বিক্রেতাদের কাছে একটু কমানোর কথা ভাবছেন, যদি প্রতিটা জিনিসের দাম একটু করে কমায়, হয়তো ক্রেতারা কিছুটা উপকৃত হবেন,। তারা জানালেন পরপর দুইদিন দুটি পুজো পড়ায় এই অবস্থা হয়েছে, বিক্রেতারা কিছু কমাতে চাইছেন না, বাজারে যেমন বাড়ির ফ্যামিলি থেকে শুরু করে,। সবাই ভিড় জমিয়েছেন কেনাকাটার জন্য তেমনি কল কারখানা থেকেও ভিড় জমিয়েছে বাজারে বাজারে এবং যে যার পছন্দ মতো প্রতিমা দেখছেন। সকাল হলেই পুজো তারপর চলবে দুদিন ধরে কর্মচারীদের উল্লাস, তাই আজ থেকেই মোড়ে মোড়ে বেজে চলেছে মাইক আর বক্স, তার তালে তালে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন কর্মচারীদের নাচ