আজ ১৯শে জানুয়ারী শুক্রবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে, বিভিন্ন দাবী নিয়ে, সরকারি আন্দোলন কারীর শিক্ষক ও কর্মীরা আজ হাওড়া, শিয়ালদা, হাজরায় জমায়েত হয়ে, এক মহামিছিল ও শহীদ মিনারের সামনে মহাসমাবেশ করলেন। কয়েক হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মীরা এই মিছিলে পা মিলান এবং বিভিন্ন স্লোগানের মধ্য দিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানাতে থাকেন। মিছিল যখন শিয়ালদা থেকে শুরু হয় শান্তিপূর্ণভাবে ঠিক কলকাতা কর্পোরেশনে সামনে মিছিল আসলে তারা জানতে পারেন যে তাদের হাওড়া মিছিলটিকে আটকে দেওয়া হয়েছে। সাথে সালে সাথে সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ধর্ম ঘিরে ফেলেন এবং সেখানে বসে পড়েন। তাদের একটাই কথা যতক্ষণ না প্রশাসন তাদের মিছিল ছাড়ছে তারা এই রাস্তা অবরোধ করে রাখবে একটাও সরবে না সেখানেই তারা রাস্তা ঘিরে বসে পড়েন, তাদের দাবী এ আই সি পি আই অনুযায়ী সকল বকেয়া প্রদান, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমস্ত শূন্য পদে স্বচ্ছ স্থায়ী নিয়োগ, যোগ্য অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণ ও ডিটেলমেন্ট এবং প্রতিহিংসা মূলক বদলি প্রত্যাহার করতে হবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের কথা ভাবেন ছেলেদের কথা ভাবেন অথচ পড়াশোনা লাটে উঠছে সরকারি ডিপার্টমেন্টগুলিতে দুর্নীতিতে ভরে গেছে অথচ তিনি নাকি বলেছেন যে সরকারি লোকেরা ফাঁকি দিচ্ছে। এবং শনি ও রবিবার কাজ করতে হবে। অথচ সবার ভাষণে জানা গেল যে শনিবার দিন কাজের তাগিদে যখন নবান্নে যান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ছিলেন না যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি যদি শনিবার নবান্নে না থাকেন তাহলে সরকারি লোকেরা কি করে শনিবার রবিবার কাজ করবে। এই কথা উঠে আসে আজকে সবাই এবং তিনি বলেছেন যে যারা বেশি আন্দোলনকে তীব্র করবেন তাদেরকে বহিষ্কার করবেন আজকের ভাষণে তারা চ্যালেঞ্জ যারা জানালেন ক্ষমতা থাকলে বহিষ্কার করে দেখান তার মধ্যে ছিলেন একজন বহিষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক তিনিও এর তীব্র নিন্দা করলেন এবং তিনিও একজন বহিষ্কারপ্রাপ্ত। তাকে এই আন্দোলনের জন্যই বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু দমেননি, তাই আজকে মঞ্চে উঠে তিনি জোরদার ঘোষণা করলেন আমার কি বহিষ্কার করা হয়েছে তো কি হয়েছে আমার মত আরও হাজার শিক্ষক রয়েছে সরকারি কর্মীরা আন্দোলন করছেন দেখতে চাই কতজনকে বহিষ্কার করতে পারেন, আর এটাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে আমরাও দেখে নেব কিভাবে বহিষ্কার করতে পারে আমাদের ন্যায্য দাবি না পাওয়া পর্যন্ত এই যৌথ মঞ্চ আন্দোলন করে যাবে এবং আরতি ব্রো থেকে তীব্রতর হবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো আজকে মিছিলে মুড়ি চপ ও চায়ের গ্লাস নিয়ে তারা আন্দোলন করলেন এবং সকলকে চপ মুড়ি চা খাইয়ে বুঝিয়ে দিলেন। আমাদের শিক্ষিত হয়ে কি করতে বলেছেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পড়াশোনা করে চাকরি না করে আমাদেরকে চপ মুড়ি বিক্রি করতে বলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা ও কাজকর্ম কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে , সকলকে প্রকল্প বানিয়ে প্রকল্পের প্রলোভন দেখিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করছি সেটা আর হতে দেব না অবিলম্বে সরকারি ডিপার্টমেন্টে যত কিছু বাকি আছে শূন্যপদ পূরণে সেগুলি পূরণ করতে হবে এবং বকেয়া দিয়ে প্রদান করতে হবে। নচেৎ আমরা সমস্ত কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব। দেখব সরকার কিভাবে দপ্তর গুলি চালাতে পারে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে আইনজীবী কৌস্তব বাগচী বলেন , মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ভুল ভোগ করতে শুরু করেছেন, ক্ষমতা থাকলে আর একজনকে বহিষ্কার করে দেখাক, তিনি বিভিন্নভাবে আক্রমণ করলেন, তিনি জানান যে আইনের মধ্য দিয়ে আইন পাশ হয়েছে এবং যিনি পাস করছেন তিনি কি মূর্খ, না পড়তে জানে না যে এমনি এমনি পাস করে দিয়েছে তাই সবাইকে বলি আপনারা আন্দোলন থামাবেন না আন্দোলনকে আরও তীব্র করুন আমরা আছি দেখব কিভাবে এবং কতজনকে বহিষ্কার করে দিতে পারেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি উনি একজনকে বহিষ্কার করে দেখাক। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য, আইনজীবী কৌস্তব বাগচী, আইসিডিএস এর আসমা খাতুন, সুদীপ চাঁদ ,দেবাশীষ বিশ্বাস, পরিমল রায়, বিপুল বিশ্বাস, সঞ্জীব পাল ,সন্দীপ রায়, কিংশুক রঞ্জন সহ অন্যান্যরা। আজকের মঞ্চ থেকে তারা বলেন, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ থেমে থাকবে না, যতদিন না তাদের পাওনা এবং স্বচ্ছ নিয়োগ না হয়, অনিয়মিতদের নিয়মিত না করে, আজকের সভায় ও মিছিলে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারছেন, আমরা কোথায় যেতে পারি, কি করতে পারি ,এতদিন শুধু কথা শুনে এসেছি ,এবারে আমরা আদায় করে নেব আমাদের ন্যায্য অধিকার, ন্যায্য পাওনা। এর সাথে সাথেই তারা অনুশন করবেন বলে ঠিক করেছিলেন পরিকল্পনা করেছিলেন আপাতত সেটি পড়ে বিবেচনা করার আশ্বাস রেখেছেন। সারা পশ্চিমবঙ্গে শুধু খেলা-মেলা নিয়ে মেতে চলেছেন, আর দুর্নীতিতে ভরিয়ে রেখেছেন অথচ ন্যায্য পাওনা দিতে পারছেন না, দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা অঙ্গনওয়াড়ি ও বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীরা মিলিত হন। এবং আজকে সকলকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানালেন এই মিছিল ও সভাকে সফল্ করার জন্য।