শনিবার (১ জুলাই) এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক এসব তথ্য জানান
তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জের একজন গৃহবধূ মোছা. আইরিন খাতুন (২০) গ্রামের একজন ব্যক্তির কাছ থেকে গৃহকর্মী হিসেবে কাতার যাওয়ার ভিসা পান। এরপর তিনি গৃহকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্য টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) যান।
এসময় সেখানে তার পরিচয় হয় তারেকুজ্জামান রাকিবের (২৯) সঙ্গে। রাকিব টিটিসির সামনে কম্পিউটার ও ফটোকপির ব্যবসা করেন। এসময় রাকিব ভুক্তভোগী নারীকে বলেন, বয়স কম হওয়ায় তিনি কাতার যেতে পারবেন না। এছাড়াও তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি ভুক্তভোগীকে ভয় দেখান এবং দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব দেন।
তার প্রস্তাবে আইরিন খাতুন রাজি হন এবং রাকিব এবং সিপনকে (৪০) কয়েক দফায় এক লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা দেন।
এসময় অভিযুক্তরা আইরিনকে বারবার ফ্লাইটের তারিখ দিচ্ছিলেন। বিমানবন্দর কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে বিদেশ পাঠাবেন বলে গত ১২ জুন ও ১৪ জুন বিমানবন্দর আসতে বলে তারা গা ঢাকা দেন।
আইরিন বারবার ফোন করলেও তারা বিমানবন্দরে কন্ট্রাক্ট অফিসারের ডিউটি নেই বলে তাকে ফিরে যেতে বলেন। আইরিন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এসময় উপায় না দেখে তিনি এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অফিসে এসে অভিযোগ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও জানান, অভিযোগ পেয়ে আসামিদের গ্রেফতারে নামে এপিবিএন। এসময় আইরিনের মাধ্যমে রাকিব এবং শিপনের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করা হলে তারা আইরিনকে ফ্লাইট করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আইরিনকে ৩০ জুন বিমানবন্দরে এসে তার পাসপোর্ট ও টিকিট নিয়ে যেতে বলেন রাকিব।
রাকিব ও সিপন ভুক্তভোগীকে বিমানবন্দরে আসতে বললেও নিজেরা আইরিনের সঙ্গে দেখা না করে তাদের চক্রেরই আরও দুই সদস্যকে বিমানবন্দরে পাঠান এবং আইরিনের কাছ থেকে আরও ৩০ হাজার টাকা আদায় করতে বলেন। এ টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যেই আসামি রবিন খন্দকার এবং শান্ত কালু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গোলচত্বর এলাকার বাইরে চায়ের দোকানে আইরিনের সঙ্গে দেখা করেন।
এসময় তারা আইরিনকে তার পাসপোর্ট এবং ভুয়া টিকিট বুঝিয়ে দিয়ে টাকা দাবি করলে সাদা পোশাকধারী এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা তাদের দুজনকে গ্রেফতার করেন। রবিন, শান্ত, রাকিব, সিপনকে আসামি করে ভুক্তভোগী নারী বিমানবন্দর থানায় দণ্ডবিধি আইনে মামলা করেছেন।