আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ হবেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই।
অবাধ নির্বাচন হবেই। ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন হবেই। নিষেধাজ্ঞার পরোয়া আমরা করি না। আমরা ভিসানীতির পরোয়া করি না।
তিনি বলেন, আমরা ঠিক আছি। আমরা তো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তাহলে কেন ভিসানীতি? কেন নিষেধাজ্ঞা? কেউ নিষেধাজ্ঞা দেবেন না। নিষেধাজ্ঞার হুমকি-ধমকির দিন শেষ।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখেন না ফখরুলের গলার আওয়াজ নরম হয়ে গেছে। আহারে বেচারা ছুটে ছুটে ঠাকুরগাঁও যায়। ঠাকুরগাঁও গিয়ে খোঁজে লোকজন আছেনি। লোকজন আসতে আসতে কেটে পড়বে। লোক আর থাকবে না। বিএনপির এ লাফালাফি, বাড়াবাড়িতে জনগণের কোনো লাভ নেই। তারা আবারও চুরি করবে, আবারও লুটপাট করবে, আবারও দুর্নীতি করবে, আবারও বিদ্যুতের জায়গায় খাম্বা দেবে। এসব উদ্দেশ্য নিয়ে বস্তায় বস্তায় টাকা বানাবে। এজন্যই এত লাফালাফি। যদি কোনোভাবে ক্ষমতায় বসা যায়।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খাবে। এরা বিদ্যুৎ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে আবারও দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।
এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্য বলেন, তারেক রহমান মুচলেকা দিয়েছিলেন আর রাজনীতি করবে না। আরে কাপুরুষ সাহস থাকলে বাংলার মাটিতে আয়। মায়ের অসুস্থতার জন্য আন্দোলন করবি তো ঢাকার মাঠে এসে আন্দোলনের ডাক দে। সাহস না থাকলে আন্দোলনের কথা কেন বলিস। কাপুরুষের আন্দোলন কোনো দিনও সফল হবে না।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।