নগর সংবাদ।।এক এক করে মাথার ওপরে মোট এগারোটি মাদক মামলা। এর মধ্যে একটি মামলায় তার কমপক্ষে ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
তাই এবার কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন সাইদুর রহমান (৩৫)। সেই দুশ্চিন্তা আতঙ্কে রূপ নেয়। মানসিক চাপে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত সম্ভাব্য সাজার ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি!
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের চিতলপুকুরিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। সবার অজান্তে শনিবার (৩০ মে) দিনগত রাতের কোনো এক সময় ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সাইদুর।
খবর পেয়ে রোববার (১ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে তার মৃতদেহ।
আত্মহননকারী সাইদুর রহমানের স্ত্রী রওশন আরা জানান, শনিবার রাতের খাবার শেষে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান তার স্বামী। গরমের কারণে তিনি ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঘরের বাইরে বারান্দায় ঘুমান। পরে সেহরি খেতে উঠে দেখেন ঘরের তীরের সাথে তার স্বামী ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, সাইদুর একজন মাদক ব্যবসায়ী। তিনি কয়েক দিন আগেই জামিনে কারাগার থেকে বের হয়েছিলেন। তার নামে ১১টি মামলা রয়েছে। ঈদের পরে এক মামলায় তার ১০ বছরের মতো সাজা হতে পারে। এ নিয়েই তিনি চরম মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। মানসিক চাপ থেকেই সাইদুর আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে পরিবারের সদস্যদের ধারণা। তারপরও পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
এ ঘটনায় থানায় আপাতত অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।