ঝালকাঠি রিপোর্ট: ঝালকাঠি জেলা কারাগারের জেলার আক্তার হোসেন শেখের বিরুদ্ধে এক বন্দির সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে তার স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বরিশালের ডিআইজি প্রিজন ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই নারীর স্বামী গত ২৯ জুলাই থেকে কারাগারে। স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে বারবার জেল গেটে গেলেও ব্যর্থ হন তিনি। পরে জেলের এক কর্মচারীর পরামর্শে জেলার আক্তার হোসেনের সরকারি নম্বরে ৩০ জুলাই ফোন করেন এবং স্বামীর সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। পরে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর চেয়ে নেন জেলার। এর পর থেকে তাঁকে নিয়মিত কল করতে থাকেন আক্তার। ওই নারীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ভিডিও কল দিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেন তিনি।
প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে আর স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তাঁর স্বামীকে জেলের ভেতরে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ভয়ভীতি দেখান আক্তার এবং ওই নারীকে জেল গেটে যেতে নিষেধ করেন। এ বিষয়ে আক্তার হোসেন শেখ বলেন, ‘ওই নারী তাঁর স্বামীর সঙ্গে ইচ্ছামতো কথা ও দেখা করতে চান। কিন্তু কারাবিধি অনুযায়ী বন্দির সঙ্গে সাত দিন পর কথা ও ১৫ দিন পর দেখা করা যায়। তাঁকে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন ওই নারী। আমি তাঁকে চিনি না বা তিনি আমাকে দেখেননি। তাঁর স্বামী বন্দি থাকায় খোঁজখবর নিতে আমার সঙ্গে কথা হতে পারে।’ ঝালকাঠির জেল সুপার মিলন চাকমা বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরিশাল বিভাগীয় কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ঘটনাটি সত্য হলে লজ্জাকর ও দুঃখজনক। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।