নড়াইলের কালিয়ায় গৃহবধূ মুন্নি খানম (১৮) হত্যার ঘটনায় জড়িত মো. সোহেল সরদার (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার যুবক সোহেল সরদার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার ডুমুরিয়া গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে।
তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মুন্নি হত্যায় আসামি সোহেলকে শনাক্ত করা হয়। পরে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ঢাকার তেঘরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি মেস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানায়, মুন্নির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে তারা নলামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে দেখা করেন। এসময় মুন্নিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সোহেল। তবে সোহেলের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহেল রাগান্বিত হয়ে মুন্নিকে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে যান। সেখান থেকে যাওয়ার সময় মুন্নির গলার চেইন নিয়ে যান। পরে সেটি নকল মনে করে বাড়ির পেছনের বাঁশবাগানে ফেলে দেন। পরে পুলিশ চেনটি উদ্ধার করে। আসামি সোহেলকে নড়াইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দক্ষিণ নলামারা গ্রামের শিমুল মিনার মেয়ে মুন্নি খানমের (২০) প্রায় ১৪ মাস আগে খুলনার তেরখাদা উপজেলার হৃদয় ফকিরের সঙ্গে বিয়ে হয়। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে সে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। সেদিন রাতে শ্বশুরবাড়ি ফেরার কথা থাকলেও আর ফেরেনি। রাত ৯টার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হলে থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।
পরে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে দক্ষিণ নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে একটি ডোবার পানিতে মুন্নির মরদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। নড়াগাতী থানা পুলিশ সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর মুন্নির মা বাদী হয়ে নড়াগাতী থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।