নগর সংবাদ।।ফতুল্লা থানার মাসাদাইরে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। কিশোর অপরাধীদের কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। দিনদিন তারা এতোটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে যে, মানুষ এদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদই করতে পারে না।
প্রতিটি পাড়া-মহল্লাতেই এখন কিশোররা সংগঠিত হয়ে নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। সর্বশেষ ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকায় কিশোরদের প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রহাতে মহড়া ও দোকানপাট-বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনায় বেশ আলোড়ন তুলেছে জেলা জুড়ে।
সূত্রমতে, গত সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় দুই গ্রুপের আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপ মাসদাইর পাকা পুল, বেকারীর মোড়, গুদারা ঘাট, বাড়ৈভোগ এলাকায় দেশীয় অস্ত্রহাতে মহড়া দেয়। সে সময় তারা বাড়ি-ঘর, দোকানপাট ভাংচুর করে।
সেদিন কিশোর গ্যাং’র হামলায় এনায়েতনগর ইউপি সদস্য শাজান মাদবরের অফিস, হালিম এর বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়ি ভাংচুর করে। টোকাই নেছারের নেতৃত্বে বুইট্টা আলামিন, হাসান, হোসেনসহ প্রায় ২০/২৫ জন কিশোর সন্ত্রাসী এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ আছে।
স্থানীয়দের মতে, ফতুল্লায় মাদকের পাশাপাশি কিশোর গ্যাং এখন অনেক বড় সমস্যা। কিশোররা পরিবারের বাঁধন ছেড়ে মাদকে আসক্ত হয়ে বেপরোয়া জীবন-যাপন করছে। মাসদাইর এলাকার কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করছেন দুই সহোদর হাসান-হোসেন ও নেসার।
তারা স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবারের ছত্রছায়ায় থেকে নানা অপরাধ সংগঠিত করছে। প্রশাসন তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা।
সূত্রটি আরও জানায়, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে মাসদাইর বেকারির মোড়, প্রাইমারি স্কুল, পাকাপুল সংলগ্ন শোভন গার্মেন্টসসহ আশেপাশের এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি বিসিক শিল্প নগরীর কর্মজীবী মানুষ গভীর রাতে যখন কাজ শেষে বাড়ি ফেরে, তখন এসব কিশোর সন্ত্রাসীরা ছিনতাই শুরু করে।
শ্রমিকদের পথরোধ করে মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমনকি নারী শ্রমিকদের শ্লীলতাহানি করতেও ছাড়ে না কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা।
মাসদাইর এলাকার এসব কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।