আজ ১২ই সেপ্টেম্বর,, মঙ্গলবার, আর মাত্র কয়েকটা দিন মাঝে বাকি, তার মধ্যে প্রতিদিন চলছে মুষলধারে বৃষ্টি, শিল্পীদের প্রতিমার কাজ শেষ করতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন, পাচ্ছেন না ঠিকমত ঠাকুর শুকনো করতে,
একটু রোদ্দুর হলে বাইরে বার করছেন, আবার মেঘ কালো হয়ে আসলেই তড়িঘড়ি করে প্রতিমা ভেতরে তুলে নিচ্ছেন। বাঙ্গালীদের উৎসব মানে যেমন দুর্গাপুজো, যারা কলকারখানায় কাজ করেন তাদের কাছে বিশ্বকর্মা পুজোটাই আনন্দের, কারণ সারা বছর আগুনে ও রৌদ্রে পুড়ে তারা বিভিন্ন কলকারখানায় কাজ করেন,
আর এই বিশ্বকর্মা পুজোয় দুদিন তাদের মনে ফোটে আনন্দ, পরপর দুদিন পুজো পরায় বিশ্বকর্মা ও গণেশ পূজা, শিল্পীদের তোড়জোড় আরো বেশি, কয়েকজন শিল্পীর কাছে জানা গেল, তবে তারা প্রতিমার কাজ শেষ করছেন, জানালেন কি করব যখন তখন বৃষ্টি এসে যাচ্ছে, তাই যেভাবেই হোক লেবার বেশি নিয়ে কাজ শেষ করতে হচ্ছে দিনরাত খেটে,
আর মাঝে একদিন বাদেই সবাই প্রতিমা নিতে চলে আসবেন। যারা অর্ডার দিয়েছেন এবং যারা সরাসরি কুমারটুলিতে এসে প্রতিমা পছন্দ করে কিনবেন। তাই আমাদের এই দুদিনের মধ্যে সমস্ত প্রতিমার কাজ শেষ করতে হবে, কারণ প্রথম দিন বিশ্বকর্মা পুজো, দ্বিতীয় দিন গনেশ পূজা পড়ে গেছে, সাথে জানা গেল বিভিন্ন ধরনের প্রতিমার মূল্য,
এক একটি শিল্পী একেকরকম প্রতিমার উপর দাম রেখেছেন, আলেন খুব বেশি দাম বাড়ে নি যে হারে জিনিসের দাম বেড়েছে।, মিনিমাম আড়াই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ছয় হাজার দশ হাজার পনেরো হাজার এবং দু একটা আরও একটু বেশি দামের। করোনার পর সবাই আনন্দ করুক তাই আমরা এখনো উদ্যোক্তাদের চাপ দিই না। আস্তে আস্তে আমাদের বিশ্বকর্মা প্রতিমা অনেকটাই বেড়েছে, আমরা এবারে একটু বেশি প্রতিমা তৈরি করেছি