কেরানীগঞ্জে সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা মেট্রো ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেফতার করেছে।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবীর জানান, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবির ওসি আরাফাত হোসেন ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয় পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ৮ মার্চ দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার দুটি ও মডেল থানার একটি একটি বাড়িতে রাতভর দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই রাতে অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ ডাকাতদল প্রথমে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন বড় বাস্তা গ্রামে জনৈক নজরুল ইসলামের বাড়ির দরজা ভেঙে প্রবেশ করে সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে। এরপর তাদের সবাইকে বেঁধে ফেলে এবং মারধর করে মোবাইল ফোন , স্বর্ণলাংকার ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর ডাকাতদল রাত ২টার দিকে একই থানার বটতলী গ্রামের জনৈক হাসিয়া বেগমের একতলা পাকা বাড়িতে গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। একই রাতে ডাকাত দল কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন পুরাতন শাহাপুর গ্রামের জনৈক আলাউদ্দিনের পাকা বাড়ির বারান্দার গ্রিল কেটে ও দরজার সিটকানি ভেঙে ভিতরে ঢুকে সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।
এদিকে একই রাতে ৩টি বাড়িতে সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হলে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার তাৎক্ষণিক অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের নিয়ে প্রতিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত মামলা রুজু করে সঙ্গবদ্ধ এই ডাকাত চক্রকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ।
এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবীরের ( অপরাধ ) সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবিরের (কেরাণীগঞ্জ সার্কেল) তত্ত্বাবধানে পুলিশের যৌথ আভিযানিক দল অল্প সময়ের মধ্যে সিরিজ ডাকাতি ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ডাকাতদলের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ও সাজা পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । ডাকাতদলের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার ও ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।