প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ৩:২৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২১, ২০২২, ১২:২১ পূর্বাহ্ণ
কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ল্যাম্পোস্টে হচ্ছে বাতির কাজ
কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ল্যাম্পোস্টে হচ্ছে বাতির কাজ
শেষ পর্যায়ে কোটি মানুয়ের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় সেতুতে এবার শেষ করা হয়েছে ল্যাম্পপোস্ট (বাতি) বাসানোর কাজ। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। আব্দুল কাদের জানান, সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে সেতুর ৩৬তম স্প্যানে বসানো হয় সর্বশেষ ল্যাম্পপোস্টটি। এর মধ্যে দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে বসানো হয়েছে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট। এসব ল্যাম্পপোস্ট রাতে আলোকিত করবে সেতুটি। তিনি আরো জানান, ৪১৫টির মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্ত মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টে ৮৭টি ল্যাম্পপোস্টের রয়েছে। একটি থেকে আরেকটি ল্যাম্পপোস্টের দূরত্ব প্রায় ৩৮মিটার। ল্যাম্পপোস্টগুলো চীনের তৈরি। প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হলেও এসব ল্যাম্পপোস্টের কোনো ক্ষতি হবে না। প্রতিটি পোস্টের ওজন ২৭৫ কেজি ও দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২ মিটার। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে বসানো হবে ১৭৫ ওয়াটের এলইডি লাইট। পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) সাদ্দাম হোসেন জানান, সোমবার সকাল ১০টা থেকে কাজ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ১৪টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। প্রত্যেকটি ল্যাম্পপোস্টে একটি করে বাতি বসানো হয়েছে। ক্রেনের সাহায্যে ল্যাম্পপোস্টগুলো একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় তোলার পর মূল সেতুর নির্ধারিত স্থানে যুক্ত করা হয়। কাজ শুরুর ১৪৪ দিনের মধ্যে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের কাজ শেষ হলো। বিদ্যুৎ সংযোগ এলে ল্যাম্পপোস্টগুলোতে সংযোগ তার দিয়ে যুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, চীনের তৈরি ল্যাম্পপোস্টগুলো ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসার পর সেগুলো স্থাপনের কাজ করা হয়। এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে পরীক্ষামূলক ও গত ৯ মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মূল সেতুর ৪০ নম্বর স্প্যানে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের এখন পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৯২ভাগ। আর মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৭ ভাগ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজ বাকি আর মাত্র তিন ভাগ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে সেতু।
Copyright © 2024 নগর সংবাদ. All rights reserved.