পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাইলেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হতে পারেন। মানুষের জন্য কাজ করে তাদের হৃদয় ও মন জয় করা যায়। এটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রেঞ্জের আগস্ট-২০২১ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, যেহেতু সমাজ পরিবর্তন হয় সেহেতু সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। তাই সর্বদা সমাজের পরিবর্তনশীল চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে পুলিশিং কার্যক্রম চালু রাখতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
বিট পুলিশিংকে পুলিশিংয়ের একটি কার্যকর পদ্ধতি আখ্যায়িত করে পুলিশ প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি ইউনিয়নে থানা করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন মূলতঃ বিট পুলিশং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলেন, প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়নে অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিট পুলিশিং কার্যকর অবদান রাখতে পারে।
এ সময় তিনি জনগণের মধ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাকে তা বন্ধ করতে হবে। পুলিশে কোনো অপরাধীর জায়গা নেই। আমরা যতই ভালো কাজ করি না কেন, একটি খারাপ কাজ সব অর্জন নষ্ট করে দেয়।
জুনিয়রদের যোগ্য করে গড়ে তোলা সিনিয়রদের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুনিয়রদের জন্য ভালো উদাহরণ তৈরি করতে হবে। ভালো কাজে তাদের মোটিভেট করতে হবে। তাদের সুপারভাইজ করতে হবে।
চাকরিতে ‘প্যাশন’ আনতে হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের সম্মান ও মর্যাদাবোধ থাকতে হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আইজিপি ঢাকা রেঞ্জের বিভিন্ন ইনোভেশন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি অন্যান্য ইউনিটেও এ ধরনের ইনোভেশনের চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান আগস্ট মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, অপরাধ ব্যবস্থাপনা, বেস্ট প্র্যাকটিসেস ও ইনোভেশন কার্যক্রম সভায় উপস্থাপন করেন।