নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ থানাধীন টেকনোয়াদ্দা এলাকার মৃত : হাজী আবেদ আলী'র পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে টেকনোয়াদ্দা মৌজাস্হিত ৩৩.৩২ শতাংশ পারিবারিক জমি বিরোধের সমাধানে ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় তাঁর বড় ভাই মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও বোন মোসাঃ ইয়াসমিন কে বিবাদী করে মোকামঃ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত, নারায়ণগঞ্জ এ একটি দেঃ মোঃ মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ৮১২/২০২৪। এই মামলা অদ্য ২৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে বিজ্ঞ উল্লেখিত আদালতে উপস্হিত থেকে আই,এইচ হেয়ারিং এর জন্য বাদী পক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন কোট হতে বের হবার সময় বিবাদী পক্ষ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়ার পুত্র সালফারাজ (৩৩) ও ইয়াসমিন (৪৫) ভাড়াকরা ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে রফিকুল ইসলাম লিটন এর পিছুনেন। লিটন তাদের গতিবিধি লক্ষ করে এবং তাঁর উপর আক্রমন করতে পারে এমন সন্দেহ হলে সে দ্রুত হাটতে থাকে ও দৌড়ে কোর্ট হতে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের এর কার্যালয় সংলগ্ন(পিছনে) নিট হাউজ ভবনে তাহার পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী এড: শারমিন আক্তার রেখা'র চেম্বারে যান। বিবাদীপক্ষের সালফারাজ, ইয়াসমিন,শিথি তাদের সাথে থাকা সন্ত্রাসী প্রকৃতির আরো ২০/২৫ লোকজন নিয়ে আইনজীবীর চেম্বারে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বাদীপক্ষের মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন ও তার ছেলে আমির হামজা রানা এবং আশিকের উপর চড়াও হয়ে মারধোর করতে থাকে। এ সময় নিট হাউজে থাকা অন্যান আইনজীবী ও সহকারীরা এগিয়ে আসলে বিবাদীপক্ষের লোকজন লিটনকে মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলবে এবং আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যান। বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুলে ধরেন বাদী লিটন। ঘটনার বিবরণে মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, এই মামলার কিছু জমি নারায়ণগঞ্জ পূর্বাচলের রূপগঞ্জ মাদানি এভিনিউ এর রাস্তার জন্য নারায়ণগঞ্জ অধিগ্রহণ শাখা একোয়ার করেন। এই অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা নিয়ে বিবাদীপক্ষের সাথে আমার সাথে বিরোধ। এ সূত্র ধরে শত্রুতার জেড়ধরে আমার আপন বড় ভাই সিরাজুল, তার ছেলে সালফারাজ, আমার ছোট বোন রোকাইয়া ইয়াসমিন ও তার মেয়ে শিথি আমার ও আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত। তারা প্রায় সময় ই আমাকে আদালতের দেয়া মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়।কিন্তু আমি পারিবারিক ভাবে কোন ন্যায় বিচার না পেয়ে মামলা দেই এবং তাদের বলি আদালতের বিচারে যা হবে তা আমি মাথা পেতে মেনে নিবো। কিন্তু তারা আমার এ কথায় সন্তুষ্ট নয়। এই কারণে আজ আমি আদালতের ধায্য তারিখে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে বিজ্ঞ বিচারকের আদেশ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিবাদী পক্ষকে আমার চারপাশে লোকজন নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে দেখি। তাদের প্রতি আমার সন্দেহ হলে আমি দ্রুত বের হয়ে আমার আইনজীবীর চেম্বারে যাই তাকে বিষয়টি জানাতে। আমি চেম্বারে গিয়ে বসার কিছুক্ষণ পর সিরাজ, ইয়াসমিন, সালফারাজ ও শিথি সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে আমাদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে এবং আমাদের মারধর করতে শুরু করে। এ সময় চেম্বারে থাকা ও ভবনের অনেকে এগিয়ে আসলে তাঁরা আমাকে পরে দেখে নিবে এমনকি মেরে গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি ও আমার স্ত্রী সন্তানের নিয়ে প্রাণের ভয়ে আছি। ঘটনার বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘটনার বিষয়ে চেম্বারের আইনজীবী শারমিন আক্তার রেখা বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থতার জন্য নির্ধারিত আদালতে উপস্থিত হতে না পেরে শুনানিতে আমাদের চেম্বারের সিনিয়র আইনজীবী শহীদ সারোয়ার ভাই ও জুনিয়র আইনজীবী রাসেল কে আদালতে পাঠাই বিজ্ঞ বিচারকের নিকট সময় প্রার্থনা চেয়ে। তারা আদালতের কাজ শেষ করে চেম্বারে আসেন। এর পর লিটন সাহেব চেম্বারে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে বিবাদী সিরাজ, ইয়াসমিন, সালফারাজ ও শিথি সাথে অনেক লোকজন নিয়ে চেম্বারে এসে আমার মোয়াক্কালের উপর আক্রমন করে। আমি বিবাদী পক্ষের এ ধরনের অশোভনীয় আচরণের বিষয়টি নাঃগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড: সাখাওয়াত হোসেন খান, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এড: মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রধান, এডিশনাল পিপি এড: মোঃ আজিজুর রহমান মোল্লা, এড:সাবেক এডিশনাল পিপি এড: মোঃ শামসুজ্জামান খোকা
সাহেবকে সহ আমাদের নিট হাউজের মালিকপক্ষদ্বয়কে বিষয়টি অবগত করি। তাহারা বিষয়টি দেখবেন বলে আসস্থ করেন। ঘটনাকালিন সময়ে ভবনের মালিকদ্বয় তাহাদের চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন। এগিয়ে এসে তাদেরকে বাধাদেন। তথ্য সূত্রে জানা যে বিবাদীপক্ষের সালফারাজ একজন রূপগঞ্জ থানার একাধিক মামলার চিহ্নিত অপরাধী এবং সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা,চাঁদাবাজি, মাদকসহ অনেক মামলা রয়েছে। কিছুদিন আগেও চাঁদাবাজির জন্য সেনাবাহিনীর হাতে সে গ্রেফতার হয়। শিথি একজন আইনের অধ্যয়নরত। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি কোর্টে আইনজীবী সাথে সহযোগী হয়ে কাজ করে। সে একজন শিক্ষার্থী হয়ে নিজেকে অনেকের কাছে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে বলে জানা যায়। বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে দলের নেতা কর্মী না হয়েও দলীয় শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তুলে এ ছবি দেখিয়ে অবৈধভাবে সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিতেন। আর ইয়াসমিন কয়েক বছর আগে কোর্টের আইনজীবী'র ক্লার্ক ছিলেন। এখনো সেই পরিচয় বহন করে কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রভাব খাটান বলে জানা যায়। এরা একটি অপরাধী ও সুবিধাভোগী চক্র। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে এখন মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন কে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে, ভয় ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নিতে মরিয়াহয়ে পড়েছে। এ সকল অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাদী লিটন আইনের সহযোগীতা ও ন্যায় বিচারের দাবি জানান। কোর্ট প্রাঙ্গণে আগত অনেকেই এ ঘটনার বিষয়টি জেনে বলেন প্রায় সময় ই কোর্ট প্রাঙ্গণে বাদী ও বিবাদীপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, হাতাহাতি, গালিগালাজের মতো ঘটনা আমরা দেখি থাকি। এটা অতন্ত্য দুঃখজনক ও ভয়ংকর। এতে কোর্টে আগত অনেক মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। তাই আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট দাবি রেখে বলতে চাই কোর্ট প্রাঙ্গণ ও কোর্টের বাহিরে পুলিশী বাহিনী টহল জোরদার করার।