“”সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম ” কলকাতা বু্রো,,
৩০ শে জানুয়ারী বৃহস্পতিবার, ২৯ শে জানুয়ারী বুধবার কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে, বাদু শিবানন্দ আশ্রমে সকাল থেকেই ভক্তদের ভীড় জমতে থাকে, দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে উপস্থিত হন আশ্রমে, হোম ও যজ্ঞের মধ্য দিয়ে চলে পূজার্চনা, স্বামী শিবানন্দ মহারাজ একজন নিষ্ঠামান ধর্মগুরু,
জানা যায় এই মন্দিরে যারা মানত করেন তারা সুফল পান, মায়ের কাছে বিভিন্ন মানত করে যান। কিন্তু শিবানন্দ মহারাজ কোন জ্যোতিষ বা তান্ত্রিক নয়। তিনি রামকৃষ্ণ দেবের ভাবধারায় সাধনা করে চলেন। তবে জানা যায় বাল্যকালে তিনি জঙ্গলের মধ্যে বসে একা তপস্যা করতেন।
এছাড়াও বলেন দৈব স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছ থেকে ইষ্ট মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন, সেই মন্ত্র সাধনা করে পরবর্তীকালে দিব্য অনুভূতি এবং জ্ঞান লাভ করেন, তবে তিনি বলেন মায়ের কাছ থেকে কেউ খালি হাতে ফিরে যায় না,
আজ সকল ভক্তদের উপস্থিতিতে মায়ের আরাধনা যঞ্জ করে আমি কৃতার্থ, সকল ভক্তরা মনে প্রানে আহুতি দিয়েছিলেন, এবং ভক্তদের নামে একে একে পুজো করেন নাম গোত্র সহকারে।
রোগ, অশান্তি, ঝামেলা থেকে মুক্তি পান বলে জানান মায়ের কাছে মানত করে। এই আশ্রমে বিনামূল্যে অনাথ শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া ,দেখাশোনা এবং বাচ্চাদের পড়াশোনা দায়িত্ব তিনি কাঁদে তুলে নেন।
এমনকি তিনি যা বলেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাই বলে ভক্তবৃন্দরা বলেন। জানা যায় বাদুতেই শুধু একটা আশ্রম নয়, মানুষের সেবার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে এই শিবানন্দ আশ্রম গড়ে উঠেছে।।
তিনি মানুষের সেবার জন্য উচ্চ বেতনের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন, তাহার মনের ইচ্ছাই ছিল, মানুষের ভক্তদের সেবা করা, আজ সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রতি কৌশিকী অমাবস্যায় হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হন মায়ের মন্দিরে , তবে এই বাবার মন্দিরে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা রয়েছে, কোন সাংসারিক আলোচনা করা যাবে না, কোন লেনদেন করতে পারবেনা, কেউ যদি ভক্তরা মায়ের প্রনামী দেন তার রশিদ সংগ্রহ করতে হবে, মহারাজের পা ছুঁয়ে বা আসন ছুঁয়ে প্রণাম করা যাবে না।
“”সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”” কলকাতা বু্রো