ফতুল্লায় মরিচ ও হুইল পাউডার মিশ্রিত গরম পানি ছুড়ে জ্বলসে দিয়ে মরিয়ম বেগম (২৭) নামের এক নারী কে হত্যার চেস্টার ঘটনায় আল আমিন (৩৫) নামের এক যুবক কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন শিয়াচর তক্কার মাঠের সফিক মাস্টারের বোন জামাইয়ের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত মজিদ হাওলাদারের পুত্র। সোমবার রাতে তাকে ফতুল্লার শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে মরিয়ম বেগমের স্বামী মো. শুক্কুর বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আল আমিনসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার অপর অভিযুক্ত আসামীরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকার এরশাদের স্ত্রী আয়েশা(৪০),মেয়ে ইভা(২২) ও এরশাদ (৪৫)।
মামলায় উল্লেখ করা হয় মামলার অভিয্ক্তু আসামিরা ও বাদী একই বাড়ীর পাশাপাশি রুমে ভাড়ায় বসবাস করে। বাদী স্থানীয় একটি গার্মেন্টস ওয়েস্টেজ গোডাউনে কাজ করি।
এক সপ্তাহ পূর্বে বাদীর ২ বছর বয়সী ছেলে নূর আলম আসামী আয়েশা বেগমের ঘরের দরজার সামনে গেলে শিশুটিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এ নিয়ে বাদীর স্ত্রী প্রতিবাদ করলে আয়েশা বেগমের সাথে বাক বিতন্ডতা হয়।
এর জের ধরে সোমবার (৫ জুন) দুপুর ২ টার দিকে বাদীর স্ত্রী নিজ ঘরে তার শিশু বাচ্চাকে দুধ খওয়ানোর সময় অভিযুক্ত আয়েশা বেগম ও তার স্বামী এরশাদ গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে দরজা ধাক্কা দিলে বাদীর স্ত্রী দরজা খোলা মাত্র অভিযুক্ত আসামিরা মরিচ ও হুইল পাউডার মিশ্রিত গরম পানি শরীরের উপর ছুরে মারে।
পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন জানায়, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত এক আসামী কে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।পলাতক অপর আসমীদের গ্রেফতারের চেস্টা করছে পুলিশ।