নিহত কলেজছাত্র আল আমিন (১৯) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা এলাকার আক্তার আলীর ছেলে।
সে স্থানীয় চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল।
গ্রেপ্তাররা হলো-গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যোগীতলা এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. সুমন (২০) এবং চান্দনা পূর্ব পাড়া এলাকার শ্যামল চৌধুরীর ছেলে অংকন চৌধুরী ওরফে শিখর (১৮)।
বুধবার (৮ মে) গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. রাফিউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তাররা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের যোগীতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার আল আমিন তার ছোট এক ভাইসহ চারজনকে নিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বরে বেড়াতে যায়। এ সময় ৪-৫জন ছিনতাইকারী প্রথমে তাদের নাম পরিচয় জানতে চায়। এরপর তার সঙ্গে যা আছে, তাদের দিয়ে দিতে বলে। একপর্যায়ে আল আমিনের কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তারা। এ সময় আল আমিন তাদের বাধা দিলে তার বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। পরে আল আমিনের খালাতো ভাই শাকিল আহমেদের মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে তারা ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সীমানাপ্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। পরে আহত আল আমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর আল আমিন মারা যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাজীপুরের বাসন থানাধীন যোগীতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমন ও অংকন চৌধুরী নামে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।