গাজীপুরে ফ্যানের সঙ্গে একই ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগানো দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে মহানগরীর জাঝর উত্তরপাড়া এলাকার ডা. শাহিন মিয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাঁছা থানার পুলিশ।
নিহতরা হচ্ছেন-গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বেতয়া গামের মিজানুর রহমানের মেয়ে ও স্থানীয় মোটেক সোয়েটার কারখানার মেডিকেল সহকারী লিমা রহমান (২৫) এবং সিলেট সদরের বোরাইয়া এলাকার রঞ্জিত চৌধুরীর ছেলে ও সিগমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রজত কান্তি চৌধুরী (৩৭)। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন দুজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লিমা আক্তার একসময় গাজীপুর শহরের সিগমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্সের চাকরি করতেন। সেখানে চাকরি করা অবস্থায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক রজত কান্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানাজানি হলে লিমা সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে গাছা এলাকার মোটেক সোয়েটার কারখানার মেডিকেল সহকারী পদে চাকরি নেন। একমাস আগে লিমা গাজীপুর মহানগরীর জাঝর উত্তরপাড়ার ডা. শাহিন মিয়ার ভাড়া বাসায় ওঠেন। সেখানে রজত কান্তি নিয়মিত তার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) কারখানা ছুটির পর লিমা একাই ওই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) কারখানায় সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তার কোনো খোঁজ নেননি কেউ। শনিবার বিকেলে লিমা কারখানায় ডিউটিতে না যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ দুপুরে বাসায় লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেয়। খোঁজ নিতে আসা লোকজন লিমার বাসার দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দরজায় ধাক্কা দেন। দরজা খুলে গেলে দুজনকে ফ্যানের সঙ্গে একই ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।