নগর সংবাদ।।বগুড়ার গাবতলীতে নৈশ প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে তিন মার্কেটে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার (২১ নভেম্বর) রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সামছুল উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫), ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল হালিম মিয়া (২৮), ময়মনসিংহ জেলার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলী হোসেন (৫৬), নাটোর জেলার কানু মুন্সির ছেলে সুমন মুন্সি (২০) এবং মৃত আব্দুল গনির ছেলে হুমায়ুন কবির (৩৫)।
এদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন ডাকাত দলের প্রধান এবং বাকি সবাই সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে গুলিসহ বিদেশি পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৬ নভেম্বর গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা বাজারের মুন্সি সুপার মার্কেট, পুকুর পাড় মার্কেট ও মসজিদ মার্কেটে নৈশ প্রহরীদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে নয়টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা স্বর্ণালংকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, কাপড়, মোবাইলসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ অর্থ লুট করে। ঘটনার পরদিন দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা করা হয়। ঘটনাস্থলে প্রাথমিক তদন্ত, সিসিটিভি ফুটেজ এবং নৈশ প্রহরীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় র্যাব।
এরই ধারবাহিকতায় র্যাব-১২ বগুড়ার টিম ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ডাকাত দলের ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ডাকাতদের কাছ থেকে বিভন্ন অস্ত্র ও লুণ্ঠিত মামলামাল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার সোহরাব হোসেন বলেন, ডাকাতি শেষে ডাকাতরা সাভারের নবীনগরে গার্মেন্টসের কাপড়গুলো একটি মার্কেটে বিক্রি করে। টিভি, মোবাইল ও অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। এছাড়াও বেশকিছু স্বর্ণালংকার তারা ঘটনার পরদিন জুয়েলার্সের দোকানে বিক্রি করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার পাঁচজনের সবাই পেশায় ডাকাত। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ চুরি এবং মাদকের মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।