নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল এলাকায় কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা'র সমর্থক ৫ জনকে মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
বহু মামলার আসামী এলাকার চিহিত সন্ত্রাসী কামাল ভূইয়া ছক্কুর বিরুদ্ধে। ঘটনার বিবরনে যানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ছিলেন রুহুল আমিন মোল্লা ও মহসিন ভূইয়া।
এলাকাবাসীর সমর্থন ও জনপ্রিয়তার কারনে নির্বাচনে ৩ য় বারের মত জনতার ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিজয়ী হন জনগনের ভালোবাসার প্রতীক রুহুল আমিন মোল্লা। রুহুল আমিন মোল্লা'র এ বিজয় কে সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেননি পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মহসিন ভূইয়া। এ কারনে মহসিন ভূইয়া আড়ালে থেকে তার লোকজন দিয়ে সবসময় রুহুল আমিন মোল্লা ও তার সমর্থকদের পথের কাটা ভেবে সুযোগ পেলেই লোক মারফত হুমকি ধামকি ,মারধোর, মিথ্যা মামলাসহ নানানভাবে হয়রানি করার হীন মনমানসিকতা নিয়ে অপরাধ মূলক ও অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে।
এমটাই বলে থাকেন ভুক্তভোগী মৃত - মুসলিম মিয়ার ছেলে আলমগীর। রক্তাক্ত জখম হওয়া আলমগীর বলেন, আমাদের কাউন্সিলর রুহুল আমিন বিশেষ কাজে দেশের বাহিরে।আমি শুনতে পাই এ সুযোগে গত কয়েকদিন আগে আমির হোসেন প্রধান এর ডেকোরেটরের অফিসে গোপন একটি বৈঠক বসে । এ বৈঠক আলোচনায় ছিলেন মহসিন ভূইয়া, রব মিয়া ,মেজর সোহেল,আমির হোসেন প্রধান, কালাম ভূইয়া ছক্কু ,বাপ্পি ও সপ্নিল। আলোচনার বিষয়বস্তু আমার জানা ছিলো না। কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা এর নির্বাচন প্রচারে কাজ করেছি আমি মোঃ আলমগীর আলম(৪৬),ভাতিজা মোতালেব ভূইয়ার ছেলে মুরাদ ভূইয়া (৩২),মৃত আজিজুল মাষ্টার এর ছেলে মাহবুব প্রধান(৪০),লাল মিয়ার ছেলে বিদ্যুৎ (৩০) ও সজিব সহ অনেকেই। এ জন্য আমাদের উপর ক্ষোভ বসতো সুযোগ পেয়ে পৃথকভাবে আমাদেরকে মারধোর করে।
এতে আমরা বুজতে পারি যে তারা সবাই পরিকল্পনা করে আমাদের উপর এ নির্যাতন চালায়। কাউন্সিল এর অনুপস্থিতিতির কারনে। আমার ধারনা আমাদেরকে মারধরের প্রকৃত হুকুম দাতা বলে মনে করি মহসিন ভূইয়াকে।তার হুকুমে ১৬ জুলাই শনিবার সকাল ১১টায় গোদনাইল বৌ বাজার ক্যানালপাড়ে সিরাজুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন এর জমির বিরোধ শুনে আমি ও আমার ভাতিজা মুরাদ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশ ও র ্যাব আমাদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেন এবং আমাদের অহেতুক মারধর করে স্হান ত্যাগ করতে বললে আমরা তাদের মার খেয়ে ভয়ে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে আমার চলার পথের গতি রোধ করে কালাম ভূইয়া ছক্কু সহ তার নেতৃত্বে সঙ্গে থাকা ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসীদল আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ।
মৃত আলকাছ ভূইয়ার পুত্র কামাল ভূইয়া ছক্কুর সাথে থাকা আমার চেনা মতে আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে তারা হলেন শাহজাহান মাদবরের ছেলে বাপ্পি,মালেক এর পুত্র রনি,সপ্নিল ও তার ছেলে রনিসহ আরো অনেকে যাদের নাম আমার যানা নেই। আঘাতপেয়ে আমি অবচেতন হয়ে পড়লে আমাকে প্রথমে খাঁনপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিলে চিকিসৎক আমার অবস্হা খারাপ দেখে ঢাকা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।আমি চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ করি।তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ এখনো এ বিষয়ে কোন ব্যবস্হা নেননি। আমি অহেতুক হামলার শিকার। আমি সমাজ ও আইনের কাছে ন্যায় বিচার আশা করি। ঘটনার বিষয়ে কামাল হোসেন ভূইয়া ছক্কু'র সাথে কথা বললে তিনি আলমগীরকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাকে প্রশাসনের লোকজন মেরেছে এবং কাজী আমিরের লোকজন ও আরামবাগের লোকজন মারধর করে। ঘটনার সত্যতা আপনারা যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন। ঘটনার বিষয়ে কাজী আমিরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই।আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তি তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
ছক্কু একজন মাদক ব্যাবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী।
ঘটনার বিষয়ে মহসিন ভূইয়া এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বলেন, আলমগীর একজন মাদকাসক্ত। তার সাথে আমার তুলনার প্রশ্নই হয়না। আমি তাকে মারধরের বিষয়টি জানিনা এমনকি আমি এ বিষয়ে জড়িতও নই। তবে আমাদের দলীয় সপ্নীল এর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা এর লোক জনের সাথে। আমাদের দলীয় কর্মী বলে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আসাদুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন অভিযোগ এর কাগজ আমি এখনো হাতে পাইনি আমি ছুটিতে ছিলাম।খোঁজ নিয়ে দেখবো। তিনি বলেনস্হানীয় এলাকাবাসী এ বিষয়ে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে কামাল ভূইয়া ছক্কু তার সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। তাঁর হাতে অনেক মানুষ নির্যাতনের শিকার। আইনী গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে। এ সকল সন্ত্রাসীদের হাতহতে আমরা মুক্তি চাই।