বৃহস্পতিবার (০৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গতকাল জানতে পেরেছি ভারত মহাসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি সাইক্লোনিক সিস্টেম ডেভলপ করেছে। যেটা ৯ তারিখের মধ্যে হয়তো লঘুচাপে রূপান্তরিত হবে। এরপর ধীরে ধীরে এটা সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ ধারণ করবে। এরপর ১১ তারিখের দিকে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। যদি ঘূর্ণিঝড় হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হবে ‘অশনি’। এটার ল্যান্ডফলটা এখন পর্যন্ত ক্যালকুলেশন হয়নি। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পর জানাতে পারব, কবে এটা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ একটি ঘূর্ণিঝড় প্রবণ দেশ। আমাদের অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যার জন্য আমরা আজকে এসওডি অনুযায়ী প্রাথমিক সভা ডেকেছি। এখানে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনা করেছি। কবে লঘুচাপ, কবে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিটা স্টেপে আমাদের প্রস্তুতি কী, কাদের আমরা সংযুক্ত করব, কাদের দায়িত্ব দেবো, কাদের নির্দেশনা দেবো—সেগুলো আমরা আজ ঠিক করেছি। পরবর্তীতে যদি সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয় এবং দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দিলে আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে নির্দেশনাগুলো মাঠ পর্যায়ে দিয়ে দেবো।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, আমাদের সিপিপি ভলান্টিয়ারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা উপকূলীয় অঞ্চলে কাজ করছে, আমাদের যে এসওডি আছে সে অনুযায়ী কখন কী করতে হবে, সে অনুযায়ী দরকার ছিল সবাইকে জানানো, সেটা আমরা জানিয়ে দিয়েছি। সবাই আমরা এখন অ্যালার্ট। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিপিপি ভলান্টিয়ারদের অবহিত করা, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করা এবং যদি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় শেল্টার সেন্টারগুলো প্রস্তুত করতে হবে। আমাদের প্রায় ৭ হাজার শেল্টার হাউজ আছে, প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ এবং অন্যান্য ভবন কাজে লাগাবো।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আম্পানের সময় ১৪ হাজারের বেশি শেল্টার সেন্টার প্রস্তুত করেছিলাম। সেখানে প্রায় ২৪ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দিতে পেরেছিলাম, আমাদের সেই ক্যাপাসিটি আছে ও প্রস্তুতি আছে। আশা করি আমরা সুন্দরভাবে এটি মোকাবিলা করতে পারবো।