গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন কেরানির টেক বস্তির ভয়ংকর মাদক সম্রাঞ্জী কারিমা। কে এই মাদক সম্রাঞ্জী কারিমা ও রুনা? শুধু কারিমা নয় তার আপন বোন রুনা বড় ভাই আমির হোসেন বাবা আঃ কাদির মিয়া সহ পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত । তাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী সহ বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। টঙ্গীর কেরানিরটেক বস্তিতে সরেজমিনে অনুসন্ধানি সংবাদকর্মীদের টিম ঘুরে জানায় যে, এই ভয়ংকর মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা সবাই একই পরিবারের । এরা টঙ্গীতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের গডফাদার হিসাবে পরিচিত । কারিমার নেতৃত্বে রয়েছেন একাধিক মাদক বিক্রেতা সেলস্ ম্যান , আরো জানা যায় যে কারিমা, রুনা, কাদির এর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবা খুচরা বিক্রি করে থাকেন এই কেরানিরটেক বস্তিতে । মাদক ব্যবসা করে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন কারিমা। প্রতিদিন এই বস্তিতে ২৪ ঘন্টা মাদকের কেনা বেচা চলে ওপেন সিক্রেট ভাবে । শত শত মাদকসেবীর অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে এই টঙ্গীর কেরানিরটেক বস্তি । এই মাদক সম্রাজ্ঞীর টঙ্গীতে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অন্তত পাঁচটি বাড়ি এবং নামে বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা । নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু ব্যক্তি সাংবাদিকদের কে জানান কারিমার নামে বেনামে রয়েছে হোটেল ও ইজ্জতপুরে কয়েক বিঘা সম্পত্তি। এ বিষয়ে সাংবাদিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গেলে মাদক সম্রাঞ্জী কারিমা,রুনা ও কাদির সাংবাদিককে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে বলেন,টঙ্গীতে কেরানিরটেক নিয়ে কোন মাথাব্যাথা দেখালে কেরানিরটেক এ ই নাকি হোতায়া দিবো !!! তাদের পক্ষে সব সম্ভব কারন সেখানে আহসান মাষ্টার মশাই তাদের ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি । এদিকে অন্ধকারে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার পরিচয় চলে তাদের এই অবৈধ মাদকব্যবসা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আরো তথ্য ,আরো জানা যায় যে, কথিত সাংবাদিক "শামীমা খানম বেবী "ও "আবু সাঈদ মৃধা" সহ কয়েক জন কথিত সাংবাদিক এর শেল্টারে চলে এই মাদক ব্যবসা। মাদক বিক্রেতার ছবি তুললে স্থানীয় জন প্রতিনিধির কাছে বিচার দেওয়ারও হুমকি পদান করেন। গত ২০ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে টঙ্গী থেকে মাদক সম্রাঞ্জী কারিমার বড় ভাই আমির হোসেনকে ৪৯.৯ কেজি গাঁজা সহ র্যাব- ১ আটক করে। এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের একটাই দাবি মাদক সম্রাঞ্জী কারিমার পরিবার টঙ্গীতে সব থেকে বেশি মাদক ক্রয় বিক্রয় করছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালণ করে আসছে। প্রশাসনে নিকট জোর দাবি কারিমার পরিবার ও তাদের শেল্টার দাতাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। (চলবে)