চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর এলাকায় আলত্বাফিয়া ইয়াছিনিয়া আল এজাজ ইন্টারন্যাশাল ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন। তিনি বলেন, গ্রেফতার ৪ জনের পরিচয় যাচাই-বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তারা হলেন, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী পৌরসভার আজহারুল ইসলামের ছেলে মো. সুহেল আনোয়ার (৪০), কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা গ্রামের মৃত জামাল হোসেনের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৪৮), বাঁশখালী উপজেলার মাষ্টারপাড়ার নাপোড়া গ্রামের বিধান দেবের ছেলে বিদ্যুৎ দেব (৩৫) ও ভূজপুর থানার পোদ্দারপাড়া গ্রামের দুলাল বাবুর ছেলে সুমন কান্তি দে (৪০)।
এদের মধ্যে সুহেল আনোয়ার বর্তমানে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পদে বায়েজিদ সেনানিবাসে কর্মরত, বিদ্যুৎ দেব নিজেকে সকালের সময় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেন, শফিকুল ইসলাম নিজেকে সাবেক মেজর পরিচয় দেন এবং সুমন কান্তি দে পেশায় গাড়ি চালক বলা জানা গেছে।
আল এজাজ ইন্টারন্যাশাল ও এতিমখানার পরিচালক মো. এজাজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যৌথ বাহিনীর গোয়েন্দা পরিচয়ে ৯ জন লোক তার মাদরাসায় প্রবেশ করেন। তারা তল্লাশির নামে এতিমখানার লোকজনকে অবরুদ্ধ করে নগদ ৩ তিন লাখ টাকা ও ৬ হাজার দেরহাম ও রিয়ালসহ প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট করেন।
পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাইক্রোবাস চালকসহ ৪ জনকে আটক করে গণধোলাই দেন স্থানীয় লোকজন। এরমধ্যে ৫ জন পালিয়ে যান। পরে পুলিশের টহলটিম ও সেনাবাহিনীর টহলটিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আটককৃতদের পুলিশ হেফাজতে নেয়।
থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে আসা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই শেষে সুহেল আনোয়ার সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পদে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত বলে জানতে পারেন। পরে যথাযথ নিয়ম মেনে ক্যাপ্টেন মো. তাসলিম উল হাসানের নিকট তাকে হস্তান্তর করা হয়।