চট্টগ্রাম নিজামপুর সরকারি কলেজ এলাকায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-আহত ৫
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
আহতরা হলেন, মোহাম্মদ রাশেদ, আরিফুল ইসলাম, মনির হোসেন, রুমেল। আহতদের মধ্যে ৫ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সেলিম অনুসারী নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অনুসারী ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকারের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকালে নিজামপুর কলেজে ২৪ ও ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরবর্তীতে রাজনীতিতে রূপ দেওয়া হয়। দুপুরে দমদমা এলাকায় এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে আসায় বিকেলে ছাত্রদলের দুগ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এরপর সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রকেট লাঞ্চার দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস হোসেন মাসুদ বলেন, সকালে এসএসসি ২০২৪ ও ২০২৫ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে আমাদের গ্রুপের এক ছাত্রকে দমদমা থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর খবর পেয়ে উভয় পক্ষ কলেজ গেটে অবস্থান নেয়। বিকেলে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারী নাঈম সরকার উপজেলার বারইয়ারহাট, মিরসরাই থেকে অস্ত্র সস্ত্রসহ লোকজন জড়ো করে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকার বলেন, কলেজে ২৪-২৫ ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন বিএনপির অনুসারীরা ২৪ ব্যাচ এর শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়ে উস্কানি দেয় এবং দুজন সাধারণ ছাত্রদকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরক্ষণে সাধারণ ছাত্ররা সেই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার যুবদল নেতা জিয়া, আরিফ, রহিমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করে।
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।